CV Ananada Bose: রাজভবনে বোমা খুঁজতে বম্ব স্কোয়াড ডাকলেন রাজ্যপাল
Raj Bhavan: শনিবার চঁচুড়ায় 'তৃণমূলের লিগ্যাল সেলের' একটি সভায় উপস্থিত হন সাংসদ কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখান থেকে একের পর এক 'বোমা' ফাটাতে থাকেন। প্রথমে আক্রমণ শানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তারপর রাজ্যপালের 'ব্যালটে ভোট' দেওয়ার বক্ত্যবের প্রেক্ষিতে মন্তব্য করে বলেন, "রাজ্যপালকে আগে বলুন যেন উনি বিজেপির ক্রিমিনালদের রাজভবনে ঠাঁই দেওয়া বন্ধ করেন।

কলকাতা: তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত পৌঁছল চরমে। রাজভবনের তরফ থেকে ডাকা হল বম্ব স্কোয়াড। শুধু বম্ব স্কোয়াড একা নয়, সোমবার দুপুরে সিআরপিএফ (CRPF) এবং কলকাতা পুলিশও ডেকে পাঠানো হয়েছে। যাতে তারা যৌথ উদ্যোগে রাজভবনের ভিতরে আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা খুঁজতে পারে। সম্প্রতি, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন রাজভবনের অন্দরে নাকি বোমা-বন্দুক মজুত রয়েছে। তার পরপরই এই পদক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল বোস।
কল্যাণ কী বলেছিলেন?
শনিবার চঁচুড়ায় ‘তৃণমূলের লিগ্যাল সেলের’ একটি সভায় উপস্থিত হন সাংসদ কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখান থেকে একের পর এক ‘বোমা’ ফাটাতে থাকেন। প্রথমে আক্রমণ শানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তারপর রাজ্যপালের ‘ব্যালটে ভোট’ দেওয়ার বক্ত্যবের প্রেক্ষিতে মন্তব্য করে বলেন, “রাজ্যপালকে আগে বলুন যেন উনি বিজেপির ক্রিমিনালদের রাজভবনে ঠাঁই দেওয়া বন্ধ করেন। রাজভবনে বসে ক্রিমিনালদের ডাকছেন। সবার হাতে একটা বন্দুক দিচ্ছেন, বোমা দিচ্ছেন। দিয়ে বলছেন, তৃণমূলকে মেরে এসো। আগে এগুলো বন্ধ করতে হবে।” এখানে উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির উদ্দেশে বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেছিলেন,”বাংলায় ব্যালটে ভোট হওয়া উচিত, বুলেটে নয়।”
এরপর রাজভবনের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, আজ (সোমবার) ভোর ৫টা থেকে ১০০ জনের মধ্যে সীমিত সংখ্যক সাংসদ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের এবং সাংবাদিকদের জন্য রাজভবন খুলে দেওয়া হবে। তাঁরা সরেজমিনে এসে দেখতে পারবেন, আদৌ কোনও অস্ত্র বা গোলাবারুদ রাখা রয়েছে কি না। আর তারপর যদি কল্যাণের দাবি ভুয়ো প্রমাণিত হয়,তখন তাঁকে বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এরপর আজ দেখা গেল বোমা খুঁজতে ডেকে পাঠানো হয়েছে বম্ব স্কোয়াডকে।
