কলকাতা: আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বসাতে তৎপর রাজ্য সরকার। বিল পাশ হয়েও পড়ে রয়েছে রাজভবনে। সেই দাবিতে যখন সরব শাসক দল, তখন সেই আবহেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা আরও বেশি করে নিজের হাতে রাখলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করে রাজ্যপাল উপাচার্য নিয়োগ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে শুধু নিয়োগ নয়, সেই সঙ্গে নয়া উপাচার্যদের একগুচ্ছ শর্তও দিয়েছেন রাজ্যপাল। ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবারই অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, তাঁদের বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। সেই সব শর্তাবলীতে সই করে তবেই দায়িত্ব নিতে হয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যরা দায়িত্বও নিয়েছেন ইতিমধ্যে।
জানা গিয়েছে, উপাচার্যদের দেওয়া হয়েছে সীমাবদ্ধ ক্ষমতা। বলা হয়েছে, যে কোনও সময় উপাচার্যদের পদ থেকে সরাতে পারবেন আচার্য, উপাচার্যদের কোনও বড় আর্থিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে লাগবে আচার্যের অনুমোদন। এছাড়া প্রতি মাসে বা নির্দিষ্ট সময় পর পর আচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকলাপ সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠাতে হবে বলে জানানো হয়েছে। বড় কোনও নীতি নির্ধারণেও আচার্যের মত থাকবে বলে শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেই যে রাজ্যপালই হবে শেষ কথা, তা কার্যত স্পষ্ট। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল উপাচার্য নিয়োগের চিঠি পাঠানোর পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। কেন শিক্ষা দফতরের পরামর্শ ছাড়াই উপাচার্য নিয়োগ হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি উপাচার্যদের অনুরোধ করেছিলেন যাতে তাঁরা ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বলেই জানা গিয়েছে।