
কলকাতা: রাজ্যপাল নন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মর্মে মন্ত্রিসভায় বিল পাশ হলেও এখনও পর্যন্ত সেই বিলে সই করেননি রাজ্যপাল। জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীন ওই বিল পাশ হয়। বর্তমানে রাজ্যপাল পদে রয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল বদল হলেও সেই বিল নিয়ে সংশয় কাটেনি। রাজ্য সরকার এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন একাধিকবার। এবার সেই বিল নিয়েই দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে হবে এই মামলার শুনানি।
সংবিধানের ২০০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, রাজ্যপাল ওই বিলে অনুমোদন দিতে পারেন। আর সই না করলে সেই বিল ফেরত পাঠাতে পারেন বা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে পারেন। অথচ গত প্রায় এক বছর ধরে সেই বিল রাজভবনে পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ।
৩১ মে সব উপাচার্যদের কাজের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কিন্তু এখনও ওই বিল নিয়ে রাজভবনের তরফ থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। দ্রুত সেই অচলাবস্থা কাটাতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি আদালতে অনুপস্থিত থাকায় মামলাটি শোনেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়।
এদিন শুনানিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, মামলায় রাজ্যকে যুক্ত করতে হবে। বিচারপতি আইপি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এই জনস্বার্থ মামলার আবেদন পত্র রাজ্যপালের কাছে পাঠাবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। ১২ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী আগেই বলেছেন, ‘আচার্য বিল অনন্তকাল ধরে আটকে রাখা যায় না।’ মুখ্যমন্ত্রীও এই বিল সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, ‘জরুরি বিষয়ে অর্ডিন্যান্স আনাই যায়। পরের অধিবেশনে সেটা পাশ করিয়ে নেওয়া হয়।’ তবে বিজেপির দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করলে শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব বাড়বে। সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শন করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, তা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব।