Kolkata: গ্যাস সিলিন্ডারের সঙ্গে এবার মিলবে মুদির দোকানের মাল, আনবেন ডেলিভারি ম্যানরা

কলকাতা: গ্যাস সিলিন্ডারের সঙ্গে মিলবে আটা থেকে মধু, গৃহস্থলীর মালপত্র। নতুন চমক রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলির! সোজা কথায়, এখন থেকে আপনার বাড়িতে গ্যাসের সিলিন্ডার যিনি নিয়ে যান সেই ডেলিভারি ম্যানের কাঁধে গ্যাসের সিলিন্ডারের সঙ্গে, হাতে আটার প্যাকেট বা মধুর শিশি দেখলে কিন্তু অবাক হবেন না। সূত্রের খবর, দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল কোম্পানি গুলির সঙ্গে আইটিসি, ডাবরের মতো একাধিক সংস্থার চুক্তি হয়েছে। সেই সমস্ত সংস্থার বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করবেন গ্যাস ডেলিভারি ম্যানরা। রাষ্ট্রয়াত্ত্ব তেল কোম্পানিগুলির দাবি, এই চুক্তির ফলে আর্থিকভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল সংস্থাগুলো যেমন লাভবান হবে পাশাপাশি গ্যাস ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটার থেকে শুরু করে ডেলিভারি ম্যানরাও অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ পাবেন। 

যদিও তেল সংস্থাগুলির এই আয় বাড়ানোর পদ্ধতি নিয়ে আদৌ সন্তুষ্ট নন গ্যাস ডিলার বা ডেলিভারি ম্যানরা। কলকাতার এক রাষ্ট্রায়ত্ব তেল সংস্থার গ্যাস ডিলার বলেন, “তেল সংস্থার এই চুক্তির ফলে, আর্থিকভাবে তেল সংস্থাগুলি লাভবান হবে কিন্তু ডিলার বা ডেলিভারি ম্যানদের বাড়তি আয় সেই ভাবে কিছু হবে না।” অন্য একটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার গ্যাস ডিলার বলেন, “যে পণ্যগুলি বিক্রির কথা বলা হচ্ছে তা একজন গ্রাহক খোলা বাজারে আরও কম দামে পাবেন। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন প্যাকেট আটা খোলাবাজারে যেভাবে বিক্রি হয় আমরা সেই দামে দিতে পারব না। আমরা প্যাকেটের গায়ে প্রিন্ট করা এমআরপি বা ন্যূনতম ক্ষুদ্র মূল্য যেটা লেখা থাকবে সেই দাম নেব। অন্যদিকে খোলা বাজারে দোকানদাররা এমআরপির থেকে কম নেন। কিন্তু আমাদের যে দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে এবং তারপর গ্যাস ডেলিভারি ম্যানকে তাদের কমিশন দিলে আমরা খুচরা খোলা বাজারে যে দামে এই পণ্য বিক্রি হয় সেই দামে দিতে পারব না। তার থেকে বেশি দামে বিক্রি করতে হবে।  ফলে গ্রাহক কেন আমাদের কাছ থেকে সেই পণ্য কিনবেন?”

একইসঙ্গে গ্যাস ডিলারদের অভিযোগ, আর্থিক লাভ তো দূরের কথা, উল্টে তাঁদের মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে রাখতে হবে এই পণ্যগুলির জন্য। যেখান থেকে তাঁদের কোন আর্থিক লাভ হবে না। তার থেকেও বড় কথা ডেলিভারি ম্যানরা গ্যাস সিলিন্ডার নেওয়ার পর তাদের কাছে অন্য পণ্য বয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগটাও অনেক কম। এই সমস্ত সমস্যার কথা উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে গ্যাস ডিলাররা জানিয়েছেন। রাজ্য গ্যাস ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিজন বিশ্বাসও এই সমস্যাগুলির কথা মেনে নিয়েছেন। তিনি বলছেন, বাস্তবে এই চুক্তির ফলে গ্যাস ডিলারদের সুবিধার থেকে অসুবিধাই বেশি হবে।