Group C Recruitment: গ্রুপ সি মামলাতেও ধাক্কা খেল SSC, ৩৫০ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

Group C Recruitment: গ্রুপ ডি -র পর গ্রুপ-সি পদেও ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আগেই একজনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন, এবার ৩৫০ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

Group C Recruitment: গ্রুপ সি মামলাতেও ধাক্কা খেল SSC, ৩৫০ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
কলকাতা হাইকোর্টে এসএসসি গ্রুপ সি নিয়োগ মামলা (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2021 | 4:14 PM

কলকাতা : রাজ্যে আরও এক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। কিছুদিন আগেই গ্রুপ ডি নিয়োগের মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওপর ক্ষুব্ধ হন হাইকোর্টের বিচারপতি। এবার  গ্রুপ সি মামলাতেও ধাক্কা খেল কমিশন। ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগে ৩৫০ জনের বেতন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কত জনের ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে ছিল সেই মামলার শুনানি। নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ৩৫০ জন চাকরি পেয়েছেন, এমন অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মামলাকারীরা। আগেই এই মামলায় এক জনের বেতন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার বাকিদেরও বেতন বন্ধ করার কথা বলল আদালত। মামলাকারীদের দাবি ছিল প্যানেল বহির্ভূত ভাবে চাকরি পেয়েছেন অন্তত ৩৫০ জন। এদের মধ্যে যাঁরা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন তাঁদের সবার বেতন বন্ধ করতে কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বলা হয়েছে, তারা খতিয়ে দেখবে যে, প্যানেলের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে কি না। কমিশন দেখে চার দিনের মধ্যে ডি আই-কে বেতন বন্ধ করে দিতে বলবে।

এ দিকে এই মামলায় ফের একবার সামনে এসেছে রাজ্য সরকারের দুই দফতরের কাজিয়া। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দাবি, স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশেই ওই ৩৫০ জনের চাকরি হয়েছে। কিন্তু কমিশনের দাবি, তারা সুপারিশ করেনি। গ্রুপ ডি-র ক্ষেত্রেও একই ছবি সামনে এসেছিল।

মামলায় যাদের বেতন বন্ধ হচ্ছে, তাদের মামলায় যুক্ত করার আবেদন জানিয়েছিল কমিশন। সেই আবেদন শুনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘মামলাকারী অর্থাৎ যাঁরা চাকরিই পাননি তাঁরা গরীব। ৩৫০ জনকে পার্টি করতে হলে মামলাকারীদের অনেক টাকা দিতে হবে।’ বিচারপতি বলেন, ‘বোর্ডের অনেক টাকা। মামলায় যুক্ত করতে চাইলে তারাই করুন।’

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় গ্রুপ সি পদে ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক বাসিন্দার দায়ের করা মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাই কোর্টে। ৩৫০ জন ইতিমধ্যে নিয়োগপত্র বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পেয়ে গিয়েছেন বলে খবর।

এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমজার বলেন, ‘এসএসসি যে ভাবে চলেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে দুর্নীতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে।’ তাঁর দাবি, মন্ত্রীদের আত্মীয় স্বজনেরা চাকরি পেয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, এ ক্ষেত্রে মামলা হয়েছে বলে বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। যেখানে মামলা হয়নি, এমন কত নিয়োগে দুর্নীতি হচ্ছে, সেই প্রশ্নই উঠছে। ২০১২-র পর থেকে সব নিয়োগ ঘিরেই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘এই রাজ্যের সরকারের চরম অপদার্থতা সামনে আসছে। সার্বিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত হোক।’

বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী হিসেব দিয়ে বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে ৬০০০ নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল, নিয়োগ হয়েছে ১৩ হাজার। বাকি ৭ হাজার নিয়োগ কী ভাবে হল? সব ভুয়ো নিয়োগ আজ না হোক কাল ধরা পড়বেই।’

এর আগে গ্রুপ ডি-তেও ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগ ওঠে। প্যানেলের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও নিয়োগ করার অভিযোগ ওঠে। সে ক্ষেত্রেও ৫৪২ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : হাসপাতালে চত্বরেই রাতভর তারস্বরে বাজল মাইক, ফাটল বাজি! প্রশ্নের মুখে এনআরএ