High Court: এফআইআরে নাম আছে, অথচ ‘অভিযুক্ত’ বলতে চায় না রাজ্য, অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট
Calcutta High Court: এদিন রাজ্যের এজি কিশোর দত্ত জানান, এফআইআরে কীভাবে নাম আছে সেটা দেখতে হবে। এদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই বলে দাবি করেন তিনি। রাজ্যকে তদন্ত চালিয়ে যেতে বলেন বিচারপতি।

কলকাতা: জিটিএ নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। তদন্তের কী অগ্রগতি হল, তা জানতে চাইলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ৩১৩ জনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করার অভিযোগ উঠেছিল। তবে ওই অভিযোগে রাজ্যের করা এফআইআরে যাদের নাম আছে, তাদের অভিযুক্ত বলতে রাজি নয় রাজ্য সরকার।
আদালতে রাজ্যের প্রশ্ন, “এফআইআরে নাম থাকলেই কি তাঁকে অভিযুক্ত বলতে হবে?” বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু পাল্টা প্রশ্ন করেন, “আপনার স্কুল এডুকেশন দফতর নিজেই তদন্ত কমিটি করে দিয়েছে। তারপরেও রাজ্য বিশ্বাস করছে না? তদন্তের নামে প্রতিবার আপনারা কুমীরের ছানা দেখিয়ে বিভ্রান্ত করছেন।”
তদন্তকারী সংস্থা কেন এত নড়বড়ে, এমন প্রশ্নও করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘ওরা কোন ধরণের ভিআইপি যে ওদের কিছু জিজ্ঞেস করা যায় না’? আদালত বান্ধব আইনজীবী কৌশিক গুপ্তের দাবি, পুলিশ এফআইআরের উপর সঠিকভাবে কাজ করছে। এবার ৪১ ধারায় নোটিস পাঠানো উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।
এতগুলো বেআইনি নিয়োগ হওয়ার পরও রাজ্য সন্দেহ প্রকাশ করছে কেন? সেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি বসু। তিনি বলেন, ‘রাজ্য সিরিয়াস তদন্ত করতে চাইছে না।’ বিভাগীয় তদন্ত করা যায় কি না, সেটাও জানতে চান বিচারপতি। আদালত বান্ধব আইনজীবী বলেন, ‘অভিযোগ গুরুতর হলেই সেটা করা যায়।’ এর মধ্যে আর নিয়োগ হওয়া উচিৎ নয় বলে নির্দেশ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।
এদিন রাজ্যের এজি কিশোর দত্ত জানান, এফআইআরে কীভাবে নাম আছে সেটা দেখতে হবে। এদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই বলে দাবি করেন তিনি। রাজ্যকে তদন্ত চালিয়ে যেতে বলেন বিচারপতি। তবে রাজ্য় জানিয়েছে, নোটিস কেবলমাত্র অভিযুক্তদের দেওয়া যায়। তদন্তের কী অগ্রগতি হয়েছে, সে ব্যাপারে আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।





