কলকাতা: অবশেষে চিনা নাগরিকের ল্যাপটপের পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করতে সফল হল এসটিএফ। গ্রেফতারের পর পরই হান জুনেই (Han Zeune)-র কাছ থেকে ল্যাপটপটি উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু তার পাসওয়ার্ড ছিল স্থানীয় চিনা ভাষা মান্দারিনে। ফলে সেই লক খুলতে কালঘাম ছুটেছে তদন্তকারীদের। তবে অবশেষে সফল হল এসটিএফ। সাইবার টিমের সহযোগিতায় এল সেই সাফল্য। এর ফলে বেশ কিছু নতুন তথ্য হাতে আসবে বলেই মনে করছে তদন্তকারী দল। এর আগে হানের সবক’টি মোবাইল ফোনই আনলকড করতে পেরেছে তারা। বাকি ছিল এই ল্যাপটপটিই। এবার তাও হল। হায়দরাবাদে পাঠানো হচ্ছে সমস্ত তথ্য।
চলতি মাসেই মালদহের কালিয়াচক থেকে ধরা পড়েন চিনের নাগরিক হান জুনেই। প্রথমে তিনি জানিয়েছিলেন, বেড়াতে এসেছেন ভারতে। কিন্তু ক্রমেই জেরায় তাঁর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য হাতে পান তদন্তকারীরা। ২০১৯ সালে ভারতের গুরুগ্রামে স্টার্ট স্প্রিং হোটেল নামে আট কোটি টাকার একটি হোটেল কিনেছিলেন হান। কিন্তু এই বিপুল টাকা তিনি কোথা থেকে পেয়েছিলেন? সে প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়েই তদন্তকারীরা জানতে পারেন বাংলাদেশ, নেপাল, মায়ানমার, ভারত ও চিনে হাওয়ালার মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন চলত হানের। হোটেল ছাড়াও ভারতে আরও সম্পত্তি রয়েছে হানের।
হান ও তাঁর সঙ্গীরা ‘মাল্টি লেভেল মার্কেটিং’ এর নামে তথ্য পাচারের কাজ করতেন। পাওয়ার ব্যাঙ্ক ও ইভেন্ট প্ল্যান্ট বলে দু’টি অ্যাপও তৈরি করেছিলেন তাঁরা। টাকা দ্বিগুণ করিয়ে দেওয়ার নাম করে, সেই অ্যাপের মাধ্যমেই ভারতে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে লগ্নি করাতেন তাঁরা। এতদিন ল্যাপটপটি খুলতে না পারায় অস্বস্তি বাড়ছিল তদন্তকারীদের। নিঃসন্দেহে এখান থেকে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য উঠে আসবে বলেই বিশ্বাস তাদের। হতে পারে এই তথ্যের হাত ধরেই চিনা নাগরিকের মামলায় বড়সড় কোনও সাফল্য এল। হতে পারে বড় কোনও পরিকল্পনাও ফাঁস হতে পারে এবার।
আরও পড়ুন: খুব কম খরচেই দর্শন করতে পারবেন সাত জ্যোতির্লিঙ্গ, বিশেষ ট্রেন আইআরসিটিসির
আপাতত হানের ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন পাঠানো হচ্ছে হায়দরাবাদের ইন্ডিয়ান ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবে। ফরেন্সিক তদন্ত হবে সেখানে। শনিবার বা রবিবার মালদহে যেতে পারে লখনউ এসটিএফের আধিকারিকরা। আপাতত এসটিএফ হেফাজতে হান। প্রোডাকশন রিমান্ডে জেল থেকেই হানকে লখনউ নিয়ে যাওয়া হতে পারে। কারণ, হানের বিরুদ্ধে লখনউয়েও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।