কলকাতা: বাড়ির কুয়োতেই কখন প্রৌঢ়া পড়ে গিয়েছিলেন, খেয়ালই করেননি কেউ। খোঁজ করছিলেন বাড়ির আশপাশ, প্রতিবেশীদের বাড়িতে। কিন্তু সেভাবে কোনও সূত্রই খুঁজে পাচ্ছিলেন না তাঁরা। পরে বাধ্য হয়েই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন বাড়ির লোক। ততক্ষণে বাড়ির কুয়োতেই পড়ে ছিলেন প্রৌঢ়া। পুলিশ এলে ওই কুয়ো থেকেই উদ্ধার হয় প্রৌঢ়ার দেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুরের দক্ষিণ ৪১ পল্লি এলাকায়। মৃত প্রৌঢ়ার নাম রুনু পাল (৫৩)।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, রুনু সোমবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন। বাড়ির সদস্যরা তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন। আশপাশ এলাকাও খুঁজে দেখেন তাঁরা। গতকাল সন্ধ্যায় হরিদেবপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
মঙ্গলবার সকালে বাড়ির লোক দেখতে পান বাড়িতেই কুয়োতে পড়ে রয়েছেন বৃদ্ধা। সঙ্গে সঙ্গে হরিদেবপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। হরিদেবপুর থানার পুলিশ ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের লোকজন গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
ওই মহিলা কীভাবে কুয়োর মধ্যে পড়ে গেল, আদৌ তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছে হরিদেবপুর থানা পুলিশ। পরিবারের লোকজনদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এক প্রতিবেশী বলেন, “আমাদের বাড়িতেও খুঁজতে এসেছিলেন। কিন্তু আমরাও সন্ধ্যা থেকে দেখিনি। জানিয়ে দিয়েছিলাম সেটা। পরে তো শুনি থানাতেও গিয়েছিল ওরা। তারপর বাড়ি থেকেই দেহ উদ্ধার হল সকালে। এবার কী ব্যাপার তা তো আমরা জানি না।” পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ জানা যাবে না। সেই পথে তদন্ত এগোবে।