কলকাতা: সন্দেশখালি মামলায় আদালতে তিরস্কারের মুখে পুলিশ। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ সন্দেশখালির পুরনো তিনটি খুনের মামলায় শেখ শাহজাহানকে আদালতে পেশ করা হয়। সেই মামলাতেই আদালতে ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পুলিশ। মামলাকারীদের অভিযোগ, তিনটি খুনের মামলায় এফআইআর-এ প্রথমেই নাম ছিল শেখ শাহজাহানের। কিন্তু চার্জশিট পেশ করার সময়ে শাহজাহানের নামটাই বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এদিনের শুনানিতে বিচারপতি ঠিক এই প্রশ্নটাই করেন। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘কেন বাদ গেলো শাহাজাহানের নাম?’ বিচারপতি আরও বলেন, “শাহাজাহান শেখের নাম রয়েছে অভিযুক্ত নম্বর ১-এ। বাদ দিলেন কেন নাম? ওঁর নাম,সাক্ষীরা জানিয়েছে। তাও বাদ দিলেন?”
বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে তদন্তকারী অফিসার বলেন, “সাক্ষী বিশ্বাসযোগ্য ছিলো না। তাই বাদ দেওয়া হয়েছে।” বিচারপতি তখন বলেন, “আপনি ঠিক করে নিলেন, কার কথা বিশ্বাস করবেন, কারটা করবেন না?” তখনই বিচারপতি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, “আপনার সাথে কথা বলার মানে নেই। আপনার সিনিয়র এর সাথে কথা বলতে হবে।”
আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, ” অনেক দিন,সময় নিয়েছে রাজ্য। আর সময় দেওয়া যায় না। প্রত্যক্ষদর্শী শাহাজাহানের নাম নিয়েছে। তারপরেও নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁর।” রাজ্যের তরফে বলা হয়, ” চার্জশীট জমা পড়েছে। তবে চার্জ ফ্রেম হয়নি এখনও।”
এই মামলায় রাজ্য পাল্টা হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য সময় চাইল। ১এপ্রিল পরবর্তী শুনানি। আগের নির্দেশ মতোএই মামলায় নিম্ন আদালতের সমস্ত বিচার আপাতত স্থগিত। পরের শুনানির দিন ফের কেস ডায়েরি আনার নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে সন্দেশখালিতে তিনটি খুনের অভিযোগ ওঠে। এক বিজেপি কর্মী, দুই বাম সমর্থককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগে এফআইআর-এ প্রথমেই নাম ছিল শাহজাহানের। পরে চার্জশিট পেশের সময়ে তা বাদ দেওয়া হয়।