কলকাতা: ক্রমেই জটিল হচ্ছে নবম-দশম শ্রেণি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহার অসুস্থ, মেডিক্যাল সার্টিফিকেট লিখে দেওয়ায় বিপাকে চিকিৎসক। এবার তাঁকেই তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টার হাজিরার কথা ছিল। তিনি অসুস্থ তাই আসতে পারবেন না বলে এদিন আদালতে জানান তাঁর আইনজীবী। সেই সঙ্গে মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দেন। কেন এই সার্টিফিকেট? সেটা সরাসরি ওই চিকিৎসক দেবাশিস রায়ের মুখ থেকেই শুনতে চান বলে জানান বিচারপতি। এরপর দেবাশিস রায় নামে ওই চিকিৎসককেই তলব করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “চিকিৎসক যদি বলেন শান্তি প্রসাদের অবস্থা খুব খারাপ, তাহলে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা করবে আদালত।”
মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, মুর্শিদাবাদে অঙ্কের শিক্ষক হিসেবে ছয় জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল এসএসসি। অভিযোগ, ওই ছয়জনের নাম ছিল মেধা তালিকার নীচের দিকে। সেই ছয়জনের তিনজন গত সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জানান, তাঁদের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। তাঁরা সেই চাকরি নেননি বলেও আদালতে জানান। কেউ প্রাথমিক, কেউ বেসরকারি কলেজে কাজ করছেন। আদালত নির্দেশ দেয়, বুধবার ওই তিনজনকে বক্তব্যের সমর্থনে প্রামাণ্য নথি জমা করতে হবে।
২০১৮ সালে ৬ শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। যে নিয়োগগুলি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তার পরই ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, সে বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন ছিল। সেক্ষেত্রে ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরও নিয়োগ হয়ে থাকতে পারে। ভুয়ো নিয়োগের সরকারি খরচ পুনরুদ্ধারেরও নির্দেশ দেয় আদালত। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ওই ৬ শিক্ষকের সরকারি চাকরি বাতিলের নির্দেশও দেয় আদালত। এই মামলায় গত শুনানিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহাকে তলব করেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: Madhyamik 2022: বড় খবর! মাধ্যমিকের তৃতীয় দিনেই হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা, কোন পথে রাজ্য?