Flight Passengers: বিমানযাত্রীদের RT-PCR নিয়ে কড়াকড়ি, সজাগ স্বাস্থ্যমন্ত্রক

RTPCR: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ বা তার কোনও ভ্যারিয়েন্টকে আটকানোর জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল পর্যাপ্ত স্ক্রিনিং।

Flight Passengers: বিমানযাত্রীদের RT-PCR নিয়ে কড়াকড়ি, সজাগ স্বাস্থ্যমন্ত্রক
বিমানবন্দর (ফাইল ছবি)

| Edited By: Soumya Saha

Nov 16, 2022 | 7:32 PM

কলকাতা: করোনার (COVID-19) একের পর এক ঢেউয়ের ধাক্কা কাটিয়ে উঠে এখন অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে গোটা দেশ। রাজ্যেও কমেছে করোনার সংক্রমণ। আমজনতার একটি বড় অংশের মধ্যে করোনা নিয়ে আতঙ্কও অনেকটা কমে গিয়েছে। কিন্তু সজাগ রয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Health Ministry)। বিশেষ অতীতে যেভাবে করোনার নিত্য নতুন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে, তাতে একেবারে চিন্তামুক্ত হয়ে বসে থাকছে না স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আরটিপিসিআর (RT-PCR) পরীক্ষা নিয়ে ফের কড়াকড়ি করার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আগত বিমানযাত্রীদের জন্য কড়াকড়ি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ বা তার কোনও ভ্যারিয়েন্টকে আটকানোর জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল পর্যাপ্ত স্ক্রিনিং। তার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত বিমানযাত্রীদের স্ক্রিনিং করা দরকার। সেই কারণে, বিদেশ থেকে ভারতে আসা সব বিমানের দুই শতাংশ যাত্রীদের আরটিপিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলকভাবে করাতে হবে। যদি কোনও নমুনায় করোনা ধরা পড়ে, সেগুলির জিনোম সিকোয়েন্সিং করাতে হবে। যাঁদের কোভিড ধরা পড়বে, তাঁদের আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে করোনার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই এই নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

করোনার প্রথম ঢেউ, দ্বিতীয় ঢেউ, তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামাল দিয়ে উঠেছে কেন্দ্র। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু কোভিড এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও কোভিডের বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সেই সব কোভিড ভ্যারিয়েন্ট যাতে এ দেশে আবার দাঁত-নখ বের করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই কারণেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। বিশেষ করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় চারিদিকে যেভাবে হাহাকার পড়ে গিয়েছিল, হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন জোগান দিতে হিমশিম খেতে হয়েছিল… তেমন কোনও ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর চায় না কেন্দ্র।