COVID 19: কোয়ারান্টিনে থাকা বিদেশি মহিলার জিনোম সিকোয়েন্সিং এখনই চূড়ান্ত নয়

COVID 19: বেলেঘাটা আইডি'তে আসার পর আরেকবার তাঁর আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করানো হবে।‌ সেই আরটি-পিসিআর রিপোর্ট পজিটিভ হলে ওই মহিলার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হবে কি না, সেই বিষয়ে জানতে চাইবে আইডি কর্তৃপক্ষ।

COVID 19: কোয়ারান্টিনে থাকা বিদেশি মহিলার জিনোম সিকোয়েন্সিং এখনই চূড়ান্ত নয়
প্রতীকী ছবি

| Edited By: Soumya Saha

Dec 26, 2022 | 6:58 PM

কলকাতা: বিদেশ থেকে কলকাতায় আসা এক মহিলার শরীরে কোভিডের (COVID 19) সংক্রমণের খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে শহরে। রবিবার গভীর রাতে কুয়ালালামপুর থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছান ওই মহিলা। কুয়ালালামপুর থেকে এয়ার এশিয়ার AK-63 বিমানে কলকাতায় আসেন তিনি। কিলবানে কিরাতি মেরি নামে ওই মহিলাকে বর্তমানে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে। তবে কোয়ারান্টিনে থাকা ওই মহিলার সোয়াবের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত নয় বলেই জানা গিয়েছে। কারণ, প্রোটোকলে থাকা কোন‌ও দেশ থেকে উনি আসেননি। তাই বেলেঘাটা আইডি’তে আসার পর আরেকবার তাঁর আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করানো হবে।‌ সেই আরটি-পিসিআর রিপোর্ট পজিটিভ হলে ওই মহিলার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হবে কি না, সেই বিষয়ে জানতে চাইবে আইডি কর্তৃপক্ষ।

জানা গিয়েছে, এই মহিলা অস্ট্রেলিয়ায় থাকাকালীন কোভিড পজিটিভ হয়েছিলেন। সেই সময় সেই দেশের নিয়ম অনুযায়ী পাঁচদিন আইসোলেশনে থেকে তিনি কুয়ালালামপুর থেকে কলকাতা হয়ে বুদ্ধগয়া যাওয়ার জন্য র‌ওনা হন। এদিকে এখানকার প্রোটোকল অনুযায়ী, নমুনা কলকাতা বিমানবন্দরে দিয়ে যাত্রীরা নিজেদের গন্তব্যে চলে যান। এই মহিলা কলকাতা বিমানবন্দরে র‌্যান্ডম টেস্টের সময় সোয়াবের নমুনা দিয়ে একটি হোটেলে গিয়ে উঠেছিলেন। বিমানবন্দরে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে পজিটিভ হ‌ওয়ার কথা হোটেলে থাকাকালীন মহিলাকে জানানো হয়‌। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিদেশ থেকে আসা ওই মহিলার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গতরাতে বিদেশ থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে আসা আরও এক ব্যক্তির করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর মিলেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ওই ব্যক্তি মাঝবয়সী পুরুষ। ব্যাংকক থেকে ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাতে কলকাতা বিমানবন্দরে এসেছেন তিনি। কলকাতা থেকে তিনি দ্বারভাঙায় চলে গিয়েছেন। বিহার সরকারকে সেই তথ্য স্বাস্থ্য ভবনের তরফে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা।