কলকাতা: ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ। আবহাওয়া দফতর (Meteorological Department) সূত্রে শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর-পশ্চিমে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি ক্রমেই শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে স্থলভাগের দিকে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এটির আরও শক্তি বাড়ানোর কথা রয়েছে। এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী তিন থেকে চারদিন বাংলার একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস (Rain Forecast) রয়েছে। এদিকে শনিবার থেকেই নিম্নচাপের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলায়। শনির দুপুরেই মেঘে ঢাকা পড়েছে কলকাতা (Kolkata) সহ পার্শ্ববর্তী জেলার আকাশ।
শনিবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কলকাতায়। রবিবার ও সোমবার দুই মেদিনীপুর, দুই চব্বিশ পরগনা ও হাওড়ায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। শহর কলকাতাতেও আগামীকাল ভারীর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ১২ এবং ১৩ তারিখে পশ্চিমের জেলা বীরভূম, বাঁকুড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। নিম্নচাপের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। সে কারণেই পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে।
শুধুমাত্র দিঘাতেই ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইবে আগামী কয়েকদিন। তবে আগামী ১৪ তারিখ থেকে বৃষ্টির পরিমাণ ধীরে ধীরে কমবে বলে হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে। এদিকে এরইমধ্যে নিম্নচাপের জেরে সুন্দরবনের উপকূল এলাকায় বৃষ্টির সঙ্গে বইছে ঝড়ো হাওয়া। অন্যদিকে পরিস্থিতি যে খারাপ হতে পারে সেই আঁচ করে ইতিমধ্যেই সেচ দফতরের পক্ষ থেকে বাঁধ মেরামতির কাজ করা হচ্ছে। সাগর ব্লকের মুড়িগঙ্গা নদীর বিভিন্ন জায়গায় বেহাল বাঁধ মেরামতের কাজ চালানো হচ্ছে জোরকদমে। অন্যদিকে এদিন দুপুর থেকে বকখালি সমুদ্র সৈকতে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার তরফে মাইকিং শুরু করা হয়। পর্যটকদের সচেতন করার জন্য প্রতিনিয়ত মাইকিং চলছে।
বকখালি ও গঙ্গাসাগরে পর্যটকদের সমুদ্রে নামার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। সমুদ্রতট থেকে পর্যটকদেরকে হোটেলে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, একশটির বেশি ফ্লাড সেন্টার ও স্কুল তৈরি রাখা হয়েছে। জেলার ৬টি বিশেষ সিভিল ডিফেন্সের দলও তৈরি রাখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি কাকদ্বীপ, ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার মহকুমা শাসকের অফিসে ও সুন্দরবনের ব্লক অফিসগুলিতে খোলা হচ্ছে কন্ট্রোলরুম। পঞ্চায়েতগুলিকেও সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।