High Court: শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধরনা দিলে সমস্যা কোথায়? রাজ্যকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

Recruitment Scam: অভিযোগ, পুলিশ অন্তত আটটি মামলায় প্রায় সাত হাজার বিক্ষোভকারীকে অভিযুক্ত করেছে বলে দাবি মামলাকারীদের। মামলা শুনে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধরনা দিলে সমস্যা কোথায়? সেখানে কি ১৪৪ ধারা লাগু ছিল?

High Court: শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধরনা দিলে সমস্যা কোথায়? রাজ্যকে প্রশ্ন হাইকোর্টের
আদালতে নিয়োগ মামলাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Nov 28, 2023 | 8:29 PM

কলকাতা: গত কয়েক বছর ধরে রাজ্য জুড়ে বহু প্রতিবাদ আর বিক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছে। কখনও গান্ধীমূর্তির পাদদেশে, কখনও করুণাময়ীতে, কখনও কালীঘাটের দিকে এগিয়ে গিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। সেই সব বিক্ষোভে পুলিশের বাধার সম্মুখীনও হতে হয়েছে তাঁদের। টেনে বাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁদের। পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শতাধিক বিক্ষোভকারী চাকরি প্রার্থী। তাঁদের দাবি, অযথা মামলা করে অভিযুক্ত করা হয়েছে কয়েক হাজার চাকরি প্রার্থীকে। সেই মামলাতেই হাইকোর্টের বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানো যাবে না কেন? সেখানে তো ১৪৪ ধারা জারি নেই।

পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন ১৩৮ জন অভিযুক্ত। তাঁদের অভিযোগ, ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কখনও গান্ধীমূর্তির পাদদেশে, কখনও শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। কখনও এসএসসি চেয়ারম্যানের অফিসে গিয়ে স্মরকলিপি দেওয়া হয়েছে আবার কখনও এমএলএ হস্টেলে গিয়ে নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখার জন্য আবেদন করা হয়েছে। এমন সব ক্ষেত্রে পুলিশ অন্তত আটটি মামলায় প্রায় সাত হাজার বিক্ষোভকারীকে অভিযুক্ত করেছে বলে দাবি মামলাকারীদের।

মামলা শুনে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধরনা দিলে সমস্যা কোথায়? সেখানে কি ১৪৪ ধারা লাগু ছিল? যে সব ধারায় মামলা রুজু হয়েছে, সেগুলো কি দেওয়া হয়েছে? এইভাবে মামলা বাড়ানো হচ্ছে কেন, সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি।

রাজ্যের তরফে সওয়াল করা হয়, করোনা মহামারীর মধ্যে শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি গিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। দল বেঁধে স্লোগান দেওয়া হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ও মহামারী আইনের সঙ্গে আরও নানা ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এ কথা শুনে বিচারপতি ফের প্রশ্ন করেন, করোনা কোথায়? আর যে সব ধারা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো কি দেওয়া যায়! পুলিশকে কেস ডায়েরি নিয়ে যেতে বলেছে আদালত। আগামী ৫ ডিসেম্বর কেস ডায়েরি নিয়ে যেতে হবে।