Calcutta High Court: চাকরিতে সংরক্ষিত আসন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির
Calcutta High Court on Recruitment: তপশিলি জাতি বা উপজাতি অর্থাৎ সংরক্ষিত আসনে থাকা প্রার্থী যদি জেনারেল প্রার্থীর থেকে বেশি নম্বর পান, তাহলে তাঁকে জেনারেল হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
কলকাতা: চাকরিতে সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের কী নিয়মে নিয়োগ হওয়া উচিত, তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় প্রধান বিচারপতির নির্দেশে বাতিল হয়ে গেল ২০২২ সালের প্যানেল। বদলে ২০২১ সালের প্যানেল কার্যকর হবে। এই নির্দেশের ফলে চাকরি হারাতে পারেন ১৩৭ জন পুলিশ কনস্টেবল। তবে শূন্যপদে তাঁদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হবে না বলে জানা গিয়েছে।
তপশিলি জাতি বা উপজাতি অর্থাৎ সংরক্ষিত আসনে থাকা প্রার্থী যদি জেনারেল প্রার্থীর থেকে বেশি নম্বর পান, তাহলে তাঁকে জেনারেল হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। তাঁর জায়গায় সুযোগ পাবেন সংরক্ষিত আসনে নীচের দিকে থাকা কোনও প্রার্থী। সেই নিয়মেই ২০২১ সালের প্যানেল প্রকাশিত হয়। এই আইনের বিরোধিতা করে মামলা করেছিল জেনারেল আসনের পরীক্ষার্থীদের একাংশ। স্যাট ওই নিয়মকে মান্যতা দেয়নি। এরপর দ্বিতীয় প্যানেল প্রকাশিত হয়।
স্যাটের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান সংরক্ষিত তালিকায় নীচের দিকে থাকা পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি ছিল সাধারণ বা জেনারেল প্রার্থীদের তালিকা থেকে সংরক্ষিতদের সরিয়ে দেওয়ায় তাঁরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সেই মামলার শুনানি হয়েচে আগেই। আজ বুধবার রায়দান করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সংরক্ষনের আইনকেই সেখানে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সংরক্ষিত তালিকায় বেশি নম্বর পাওয়া প্রার্থীকে জেনারেল বা সাধারণ হিসেবেই চিহ্নিত করা হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় প্যানেল অনুযায়ী যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁদের মধ্যে ১৩৭ জনের চাকরি চলে যেতে পারে এই নির্দেশে। প্রধান বিচারপতির পরামর্শ, তাঁদের চাকরি বাতিল না করে অন্যত্র কাজে যুক্ত করতে হবে। জানা গিয়েছে, ২০০ শূন্যপদ রয়েছে এখনও তাই ওই ১৩৭ জনের চাকরি পেতে কোনও অসুবিধা হবে না।
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ সহ একাধিক ক্ষেত্রে এই সংরক্ষিত আসনের নিয়ম নিয়ে একাধিক মামলা চলছে। আজ প্রধান বিচারপতি যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা অন্যান্য ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।