DA Case in High Court: রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ আদালতের

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

May 20, 2022 | 4:33 PM

DA Case in High Court: ডিয়ারনেস অ্যালাউন্স বা মহার্ঘ ভাতা নিয়ে সরকারি কর্মীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে। স্যাটের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য।

DA Case in High Court: রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ আদালতের
কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল ছবি

Follow Us

কলকাতা : হাইকোর্টের রায়ে স্বস্তি ফিরল সরকারি কর্মীদের। ডিএ মামলায় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা স্যাটের রায় বহাল রাখল আদালত। তিন মাসের মধ্যে কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়া দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এ দিন। ২০০৯ সালের জুলাই মাস থেকে যে ডিএ বাকি আছে, তা এরিয়ার সহ দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্যাটের রায়ই বহাল রাখল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। হাইকোর্টের রায় ঘোষণায় স্বভাবতই ডিএ মামলায় এ দিন ধাক্কা খেল রাজ্য।

ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা নিয়ে সরকারি কর্মীদের ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি হলেও, সেই অনুপাতে রাজ্য সরকারি কর্মীরা ডিএ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে আছেন। ফলে প্রতি মাসে কর্মীদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি করা হয় একাধিক সংগঠনের তরফে। পরে ট্রাইবুনালের তরফে ডিএ দেওয়ার পক্ষে রায় দেওয়া হলেও রাজ্য সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা করে। একাধিক বেঞ্চে ঘুরেছে সেই মামলা। অবশেষে শুক্রবার রায় দিল আদালত।

এ দিন ডিভিশন বেঞ্চের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ৩১ শতাংশ বকেয়া ডিএ আগামী তিন মাসের মধ্যে এরিয়ার সহ  মেটাতে হবে সরকারকে। শুধু তাই নয়, কর্মীদের জন্য ডিএ-র গুরুত্ব ঠিক কতটা, সেটাও বোঝানোর চেষ্টা করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত এ দিন উল্লেখ করেছেন, সরকারের মূল শক্তিই হল সরকারি কর্মীরা। তাঁদের ডিএ থেকে বঞ্চিত করা হলে তাঁরা হতাশ হয়ে পড়বেন বলে উল্লেখ করেছেন বিচারপতি। অন্যদিকে, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ডিএ-র তাৎপর্য মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর কর্মীদের ডিএ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। ডিএ কী ভাবে দেওয়া হবে, তা ঠিক করতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কমিটি তৈরি করা হয় বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। বিচারপতি আরও জানান, বিলাসিতা না হলেও ডিএ একজন কর্মীর জীবনে কতটা জরুরি। পে কমিশনও এর বিরোধিতা করেনি বলে উল্লেখ করেন তিনি। মুদ্রাস্ফীতি-র ওপর ভিত্তি করেই ডিএ দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে রঞ্জিত কুমার বাগের বেঞ্চ ৬ মাসের মধ্যে ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরে ২০২০ সালে রাজ্য সরকার একটি রিভিউ পিটিশন দেয়, সেটাও খারিজ হয়ে গিয়েছিল। পরে স্যাট বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর ২০২০ সালে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যায় রাজ্য সরকার।

Next Article