Recruitment Case: ‘সুপারনিউমেরারি পোস্টে এখনই নিয়োগ নয়’, মামলা পিছনোয় বাড়ল অনিশ্চয়তা

Recruitment Case: কর্মশিক্ষায় ৭৫০টি ও শারীরশিক্ষায় ৮৫০টি সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করে নিয়োগের জানানো হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে।

Recruitment Case: ‘সুপারনিউমেরারি পোস্টে এখনই নিয়োগ নয়’, মামলা পিছনোয় বাড়ল অনিশ্চয়তা
হাইকোর্টে এসএসসি মামলা

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Dec 21, 2022 | 2:19 PM

কলকাতা : সুপারনিউমেরারি পোস্টে নিয়োগ ফের পিছিয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে। ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই পদে নিয়োগ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই নির্দেশের মেয়াদ আরও বাড়ানো হল। জানুয়ারি পর্যন্ত সুপারনিউমেরারি পোস্টে কোনও নিয়োগ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বর্তমানে এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সে কারণেই স্থগিতাদেশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি রয়েছে। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। সেই নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেই মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার ওপর নিয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিন এই মামলায় আরও নতুন কিছু অভিযোগ সামনে এসেছে। মুর্শিদাবাদে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর নাম প্যানেলে না থাকা সত্ত্বেও চাকরি পেয়েছেন তিনি। ওই শিক্ষকের বাবা সংশ্লিষ্ট স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদে রয়েছেন।

কর্মশিক্ষায় ৭৫০টি ও শারীরশিক্ষায় ৮৫০টি সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করে নিয়োগের জানানো হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর মামলা হয় হাইকোর্টে। অভিযোগ ছিল, কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষার পদে এমন ৬০ জন চাকরি করেন, যাঁদের প্রাপ্ত নম্বর মামলাকারীদের থেকে কম। এরপরই ওই পদ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

সুপার নিউমেরারি নিয়োগ সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কে এই নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে, তা খুঁজতে সিবিআই তদন্তের কথা বলেছিলেন তিনি। ওই মামলায় শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারিকেও তলব করেছিলেন বিচারপতি। পরে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।

অন্য়দিকে, প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি হাইকোর্টে হাজিরা দিয়ে জানিয়েছিলেন , অবৈধ উপায়ে চাকরি প্রাপকদের চাকরি যাবে না, প্রয়োজনে নতুন করে শূন্যপদ তৈরি করে তাঁদের চাকরি বহাল রাখা হবে, এই সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেওয়া হয়েছিল। সেই সব পদে নিয়োগ নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ল আরও।