কলকাতা: গত বছর নেতাই যাওয়ার পথে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। ঝিটকার জঙ্গলের কাছে তাঁর পথ আটকানো হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। এবার আরও একটা ৭ জানুয়ারি আসছে। আবারও নেতাইতে হবে স্মরণসভা। সেই স্মরণসভায় যোগ দিতে যাওয়ার জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে সিঙ্গল বেঞ্চের মত, নেতাই যেতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে যাতে না আটকানো হয়, সেই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যকে। কিন্তু রাজ্যও আটকাতে মরিয়া। শুক্রবার রাজ্যকে তাদের অবস্থান জানানোর নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ।
বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এদিন বলেন, “প্রত্যেকের স্মরণসভায় যোগ দেওয়ার অধিকার আছে। রাজ্য নিজে বিরোধী দলনেতাকে এক ঘণ্টার জন্য সেখানে যেতে দিক, না হলে জটিলতা বাড়বে।” উত্তরে রাজ্যের তরফে এজি জানান, আগামী ৬ ও ৭ জানুয়ারি সকাল থেকে রাত অন্য একটি দল ওই একই জায়গায় অনুষ্ঠান করবে বলে আগাম অনুমতি নিয়ে রেখেছে।
এ কথা শুনে বিচারপতি এজি-কে বলেন, দু দিনে অন্তত এক ঘণ্টা সময় দিন অন্যদের। অযথা জটিলতা বাড়াবেন না। কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়, শুধুমাত্র মালা দেওয়ার জন্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাই যেতে দেওয়া উচিত বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি, লালগড়ের নেতাই গ্রামে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। ৯ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনাকে স্মরণ করেই নেতাই দিবস পালন করা হয় ওই গ্রামে।
তৃণমূলে থাকাকালীন শুভেন্দু অধিকারী প্রতি বছর ৭ তারিখ তিনি নেতাই যেতেন। তবে সম্প্রতি সেই নেতাই যাওয়ার পথে তাঁকে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। গত বছর পুলিশের ব্য়ারিকেডের কাছ থেকে ফিরে আসতে হয়েছিল শুভেন্দুকে। তাই এবার আগেভাগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।