
কলকাতা: বিহারের পর বাংলা। SIR নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠির পাল্টা এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের চিঠি নির্বাচন কমিশনকে। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই কীভাবে এসআইআরের জন্য প্রস্তুতি নির্বাচন কমিশনের? এই প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশনের সিইও-কে চিঠি স্বরাষ্ট্র সচিবের। ব্যাখ্যা চেয়ে রাজ্য়ের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি নবান্নের।
এসআইআরের জন্য প্রস্তুত, কমিশনকে জানিয়েছেন সিইও। সেই বিষয়ের সত্যতা জানতে চেয়ে চিঠি লিখেছে নবান্ন।
বিহারের মতো পশ্চিমবঙ্গেও এসআইআর হতে পারে, এ কথা সামনে আসার পর থেকেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে রাজ্য। ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের জেরে রাজ্যের চার অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ৫ অগস্ট মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছিল কমিশন।
বারুইপুর পূর্বের ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার(ERO) দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী এবং এখানকার AERO তথাগত মণ্ডল আর ময়নার ইআরও বিপ্লব সরকার এবং এই বিধানসভা কেন্দ্রের AERO সুদীপ্ত দাসকে সাসপেন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআরেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। এই চারজনের পাশাপাশি সুরজিৎ হালদার নামে এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশ এখনও কেন কার্যকর করা হয়নি, তা নিয়ে নবান্নের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয় গতকাল। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে সোমবার দুপুর তিনটের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এই সংঘাত আবহেই এবার পাল্টা স্বরাষ্ট্রসচিব নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠানো হল।
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসআইআর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভোটার লিস্টে গরমিল থাকলে ২০২৪ সালের নির্বাচিত সরকারও অবৈধ বলে উল্লেখ করেন তিনি। বাংলায় এসআইআর হতে দেবেন না বলেই হুঁশিয়ারি দেন। নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করার কথাও বলেন অভিষেক।