কলকাতা ও হুগলি : তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষের (TMC Leader Kuntal Ghosh) গ্রেফতারির পর থেকেই তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এদিকে ডিএলএড কলেজগুলির সংগঠনের সভাপতি তাপস মণ্ডলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই কুন্তলকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ইতিমধ্যে সেই তাপসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে কুন্তলকে। তাঁর দাবি, বেআইনিভাবে অফলাইন ভর্তি নিয়ে মুখ খুলতে চাওয়ায় তাঁর ছেলেকে অপহরণ করার হুমকি দিয়েছিলেন তাপস। এদিকে শুক্রবারই তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষের নিউটাউনের দুটি ফ্ল্যাটে দিনভর তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। অবশেষে শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় কুন্তলকে। তাঁর বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে ১৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে কুন্তলের নাম জড়াতেই তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান নিয়ে জোর চর্চা শুরু গিয়েছিল বাংলার রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, হুগলির (Hooghly) ধনিয়াখালির ভান্ডারহাটিতে তাঁর একটি টিচার ট্রেনিং কলেজ থাকার পাশাপাশি বলাগড়ের জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের পাটুলি গ্রামে একটি বেসরকারি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। যেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা দেড়শোর বেশি।
সূত্রের খবর, ওই এলাকায় একটি বিল্ডিং সহ বড় জায়গা ৩ বছর আগে স্থানীয় বাসিন্দা সাধন চন্দ্র দাসের থেকে ৩৫ লক্ষ টাকায় কেনে কুন্তল ঘোষ। সাধন চন্দ্র দাসের ভাই ভজন লাল দাস বলেন, “স্কুলের মালিক কে জানি না। তবে বাড়িটা কিনেছিল কুন্তল। আগে অন্য একটি বিল্ডিংয়ে স্কুলটা চলত। সেখানে দেওয়া হত ভাড়া। এই জায়গা কেনাবেচার সময় একবার কুন্তলকে দেখেছিলাম। তবে তারপর আর কোনওদিন আসেনি।” অন্যদিকে ধনেখালিতে যে টিচার ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের সঙ্গে তাঁর নাম জড়াচ্ছে সেখানে তাঁর অংশীদারিত্ব রয়েছে বলে খবর। ওই কলেজে আর এক পার্টনার অভিজিৎ সিংহ রায়।
অভিজিৎবাবুর দাবি, ২০১৩ সালের পর থেকে আর দেখা পাওয়া যায়নি কুন্তলের। বর্তমানে এই কলেজের খাতায় কলমে তিন জন পার্টনার যার মধ্যে কুন্তল ঘোষ এক জন পার্টনার। ইতিমধ্যেই কুন্তল ঘোষের ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইডির হাতেই থাকবেন তিনি। অন্যদিকে কুন্তলের গ্রেফতারির পর থেকেই অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলের। এদিকে এদিনই ধনিয়াখালীর কোটালপুরে আনন্দ মেলার উদ্বোধন আসেন তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়া। সেখানে সাংবাদিকরা কুন্তল প্রসঙ্গ তুলতেই তা এড়িয়ে যান তিনি।