Hookah Bars in Kolkata: বন্ধ হবে কলকাতার সব হুকা বার! বাতিল হবে লাইসেন্সও

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Dec 02, 2022 | 6:04 PM

Firhad Hakim: ফিরহাদ বলেন, "পুলিশকে বিষয়টি দেখতে বলব। যাঁরা চালাচ্ছেন, তাঁদের অনুরোধ করব, আপনারা এটি বন্ধ রাখুন।"

Hookah Bars in Kolkata: বন্ধ হবে কলকাতার সব হুকা বার! বাতিল হবে লাইসেন্সও
হুক্কা পার্লার (প্রতীকী ছবি)

Follow Us

কলকাতা: কলকাতায় হুকা বারগুলি (Hookah Bar) বন্ধ করার অনুরোধ করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। শহরের সব হুকা বার বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন তিনি। শুক্রবার টক টু মেয়র চলাকালীন এই কথা জানালেন কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কেন এই সিদ্ধান্তের ভাবনা, সেই কথাও জানালেন কলকাতার মহানাগরিক। বললেন, “যে কেমিক্যাল দেওয়া হয়, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। মানুষের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। তাই লাইসেন্স ক্যান্সেল করা হবে। তারপর নতুন লাইসেন্স দেওয়া হবে না।” সঙ্গে ফিরহাদ আরও বলেন, “পুলিশকে বিষয়টি দেখতে বলব। যাঁরা চালাচ্ছেন, তাঁদের অনুরোধ করব, আপনারা এটি বন্ধ রাখুন।”

এই বিষয়টি নিয়ে দ্রুত নোটিফিকেশন করা হবে বলেও জানান ফিরহাদ হাকিম। বলেন, “পুলিশের সাহায্য নেওয়া হবে এবং ইমিডিয়েট ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” হুকা বারগুলির লাইসেন্সিং সিস্টেম না থাকার কারণে সমস্যার কথাও এদিন তুলে ধরেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বললেন, সবাই ‘প্লেজ়ারার্স স্মোকিং’ হিসেবে নেয়। প্রচুর অভিযোগ আসছে। অন্যান্য শহরে বন্ধ আছে। আমরাও বন্ধ করে দেব। মানুষের ক্ষতি হচ্ছে, সমাজের ক্ষতি হচ্ছে।” যদিও আপাতত হুকা বারগুলি বন্ধ করার বিষয়টি অনুরোধের পর্যায়েই রাখছেন তিনি।

মেয়র বলেন, “শুরুতে এটা একটা ইলেক্ট্রিক সিগারেটের মতো ছিল। সব রেস্টুরেন্ট এখন করে ফেলেছে। আগে ছোট করে হত। আমি এখন অনুরোধ করছি, ঘেরা জায়গায় হুকা বার বন্ধ করুন।” এই ধরনের হুকা বারগুলির আড়ালে মাদকের ব্যবহারের আশঙ্কার কথাও শোনান তিনি। দুই এক জায়গা থেকে এমন খবর আসছে বলেও জানান ফিরহাদ হাকিম। শহরে কতগুলি হুকা বার রয়েছে, সেই হিসেবও রাখা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, এগুলির জন্য আলাদা লাইসেন্স হয় না। ফলে অনেকেই খাবারের নাম করে হুকা বার চালিয়ে যাচ্ছে, এমন সম্ভাবনার কথাও শোনান তিনি।

প্রসঙ্গত, শহরের বিভিন্ন জায়গায় এতদিন ধরে রমরমিয়ে চলছিল বিভিন্ন হুকা বার। সিগারেটের মতো বিষয়টি না হলেও, আমোদমূলক ধূমপান জন্য অনেকেই এই হুকা বারগুলিতে ভিড় জমাতেন।

Next Article