Kolkata Doctor Mysterious Death: থাইল্যান্ডের তরুণীর সঙ্গে কীভাবে পরিচয় শুভঙ্করের? স্ত্রীকে লুকিয়ে চলছিল পরকীয়া?
Kolkata Doctor Mysterious Death: সূত্রের খবর, শুভঙ্করবাবুর মা-বাবা নামী চিকিৎসক। তাঁর স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। কলকাতার বুকেই ছিল ভরা সংসার।
কলকাতা: সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) অলিগলিতে ঘুরতে ঘুরতে তাঁকে দেখে আটকে গিয়েছিল চোখ। সেখান থেকে থাইল্যান্ডের (Thailand) ওই যুবতীর সঙ্গে পরিচয় হয় কলকাতার নামকরা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ শুভঙ্কর চক্রবর্তীর। পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ঘনিষ্ঠতা। সম্প্রতি নেপাল ভ্রমণে এসেছিলেন ওই থাই তরুণী। নেপাল থেকেই মে মাসে সোজা কলকাতায় চলে আসেন তিনি। ফ্ল্যাট ভাড়া নেন মেট্রোপলিটনে। সেখানেই যাতায়াত শুরু হয় শুভঙ্করবাবু। যে আবাসনে তিনি থাকতেন সেখানকার কর্মচারীরা জানাচ্ছেন স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়েই ওই ফ্ল্যাট থাকতেন দু’জনে। এই ফ্ল্যাটের নীচ থেকেই মঙ্গলবার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় শুভঙ্করবাবুর।
সূত্রের খবর, শুভঙ্করবাবুর মা-বাবা নামী চিকিৎসক। তাঁর স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। কলকাতার বুকেই ছিল ভরা সংসার। কিন্তু, মেট্রোপলিটনের ফ্ল্যাটের অনেকের কাছেই তা ছিল অজানা। তাঁর মৃত্যুর পরেই সামনে এসেছে সে সব তথ্য। এদিকে তাঁর মৃত্যুর পর থেকে থাই তরুণীর ভূমিকা নিয়েও উঠতে শুরু দিয়েছিল নানা প্রশ্ন। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বহুতলের ছাদ থেকেই মদ্যপ অবস্থায় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কিন্তু, কী করে পড়ে গেলেন তিনি?
সূত্রের খবর, সোমবার মাঝরাত পর্যন্ত থাই বান্ধবীর সঙ্গে মেট্রোপলিটনের ফ্ল্যাটে মদ্যপান করেছিলেন শুভঙ্কর। এদিকে রাতে লাগাতার তাঁর বাড়ি থেকে ফোন আসতে শুরু করে। তখনই তিনি বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। ততক্ষণে আবাসনের সব দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কেয়ারটেকারকে ডাকাডাকি করেও পাননি সাড়া। তখনই ছাদের পাঁচিল ডিঙিয়ে নামার চেষ্টা করেন। পাইপ দিয়ে নামতে গিয়ে ঘটে যায় বিপত্তি। রাত সোয়া তিনটে নাগাদ কিছু একটা পড়ার জোরালো শব্দ পান আবাসনের কেয়ারটেকার। বাইরে বেরিয়ে দেখেন নীচে পড়ে রয়েছে ডাক্তারের রক্তাক্ত দেহ। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন?
কিন্তু, সেই সময় কোথায় ছিলেন থাই বান্ধবী? পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, সেই সময় ছাদের দরজা লক হয়ে গিয়েছিল। ফলে শুভঙ্করবাবুর কাছে তিনি চাইলেও যেতে পারেননি। তবে তিনি কতটা সত্যি কথা বলছেন তা যাচাই করে দেখছে পুলিশ। আবাসনে থাকা সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি থাই তরুণীর বিশদ পরিচয় জানারও চেষ্টা করা হচ্ছে। যোগাযোগ করা হয়েছে থাইল্যান্ডের দূতাবাসের সঙ্গে। তবে শুভঙ্করবাবুর পরিবারের তরফেও এখনও পর্যন্ত কারও নামে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।