একজন শিশুরও যেন পুষ্টির অভাব না হয়, তৃতীয় ঢেউয়ের আগে বিভিন্ন দফতরকে বার্তা মুখ্যসচিবের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 21, 2021 | 8:07 PM

COVID-19: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের বিশেষ রক্ষাকবচ প্রয়োজন।

একজন শিশুরও যেন পুষ্টির অভাব না হয়, তৃতীয় ঢেউয়ের আগে বিভিন্ন দফতরকে বার্তা মুখ্যসচিবের
ছবি পিটিআই।

Follow Us

কলকাতা: করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কায় রাজ্য। প্রতিনিয়ত রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর দিকে নজরদারি চলছে নবান্ন থেকে। শনিবারই শিশুদের পুষ্টি নিয়ে বিভিন্ন দফতরের সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এই অতিমারির কালে কোনও শিশুর যেন পুষ্টির অভাব না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই এই বৈঠক।

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের চোখ রাঙানি রয়েছে গোটা দেশে। এ রাজ্যও তার ব্যতীক্রম নয়। সরকার সর্বতোভাবে নিজেদের প্রস্তুত রাখার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রায়ই বিভিন্ন দফতরের সচিবের সঙ্গে বৈঠক করছেন। পাশাপাশি বৈঠকে বসছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীও। এদিনও তেমনই এক বৈঠক করেন তিনি। ছিলেন স্বাস্থ্য দফতর, পঞ্চায়েত দফতর, শিক্ষা দফতর, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর, নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের সচিবরা। দীর্ঘ বৈঠক করেন মুখ্য সচিব। সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে শিশুদের যাতে কোনও পুষ্টির অভাব না হয় বা কোনও শিশু যাতে অপুষ্টির কারণে করুণ পরিণতির শিকার না হয় সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের বিশেষ রক্ষাকবচ প্রয়োজন। কোনও ভাবেই তাদের যাতে সমস্যা না হয় সেদিকে নজর রেখে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে। হাসপাতালে শিশুদের জন্য বেড বাড়ানো, অক্সিজেনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থার নির্দেশ আগেই দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। শিশুদের ঝুঁকির অন্যতম কারণ, তারা এখনও টিকা পায়নি। ফলে কোভিডের সঙ্গে লড়াই করার জন্য তারা আদৌ প্রস্তুত কি না তা নিয়ে একটা ধন্দ থেকেই যাচ্ছে।

এই অবস্থায় মুখ্য সচিবের নির্দেশ, একজন শিশুকেও সংক্রমণের বলি হতে দেওয়া যাবে না। তার জন্য যা যা করার সমস্ত আয়োজনই রাখতে হবে। মা ও শিশুর পুষ্টির ক্ষেত্রে বাড়তি নজর দিতে চায় রাজ্য। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে মা ও শিশুদের জন্য। তা যেন সকলে পান, সে দিকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এখনও শিশুদের করোনার টিকা না এলেও অন্যান্য যে টিকা বাচ্চাদের দেওয়া হয় সেগুলি যেন অবশ্যই তারা পায় সেদিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত ‘কোভিড-১৯ তৃতীয় ঢেউ: প্রতিরোধ ও প্রস্তুতি’ নামক একটি ওয়েবিনারে আন্তর্জাতিক পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নবীন ঠক্কর বলেছিলেন, “শিশুদের থেকে কখনও বড়রা সংক্রমিত হয় না, বরং উল্টোটাই হয়ে এসেছে বরাবর। সুতরাং জৈবিক কোনও কারণ নেই, যার উপর ভিত্তি করে বলা যায় যে তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরাই সংক্রমিত হবে।” তবে সংক্রমণ থেকে শিশুরা যে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত নয়, এই বিষয়টিও তাঁর পর্যবেক্ষণে ছিল। তিনি বলেন, “করোনা ও লকডাউনের কারণে শিশুদের বাকি টিকাকরণ ব্যহত হয়েছে, যার প্রভাব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাতেও পড়বে। স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুদের উপর মানসিক চাপও বাড়ছে। তবে শিশুরা করোনা সংক্রমিত হলেও তাদের অধিকাংশই উপসর্গহীন এবং সংক্রমণও খুব একটা গুরুতর হয় না। তাই অভিভাবকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই।” আরও পড়ুন: ভুয়ো RT-PCR রিপোর্ট দিয়ে একের পর এক ‘প্রতারণা’, মাটিগাড়া থেকে গ্রেফতার যুবক

Next Article