
কলকাতা: সোমবার গোটা দেশে ১২ রাজ্য়ের সঙ্গে বাংলাতেও ঘোষণা হয়ে গিয়েছে এসআইআরের। তোড়জোড় এক্কেবারে পুরোদমে। মঙ্গলবার থেকই বিএলওদের প্রশিক্ষণের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। চলছে এনুমারেশন ফর্ম ছাপানোর কাজও। আগেই শেষ হয়েছে ম্যাপিং অ্যান্ড ম্যাচিংয়ের কাজ। এবার মূল স্তরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ করবেন বিএলওরা। তাঁরাই দেবেন এনুমারেশন ফর্ম। এদিকে রাজ্য থেকে হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন কাজে রাজ্যের বাইরে থাকেন। পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবেও ভিন রাজ্যে কাজ করেন লাখ লাখ মানুষ। এবার এসআইআরের প্রক্রিয়ার মধ্যে তাঁরা বাড়িতে না থাকলে কীভাবে হবে ফর্ম ফিলাপ।
সূত্রের খবর, পরিযায়ী শ্রমিকরা চাইলে অনলাইনে আবেদন জমা করতে পারবেন। যদি তাঁরা তা না চান তাহলেও রয়েছে অন্য উপায়। পরিবারের যে কোনও সদস্যই সই করে এনুমারেশন ফর্ম জমা দিতে পারবেন বিএলওকে।
এই বিএলও হচ্ছেন সেই আধিকারিক যাঁদের কাছে সংশ্লিষ্ট এলাকার সমস্ত ভোটারদের তথ্য থাকছে। তিনিই যাবেন ভোটারদের বাড়ি। তাঁদের কাছেই কোন ব্যক্তি কোথায় থাকেন, বাড়িতে থাকেন নাকি কাজের সূত্রে বাইরে থাকেন সেই তথ্য থাকছে। তাই তিনি যে যাচ্ছেন সেই খবর এলাকায় আগাম চলে যাবে। তাঁকে পুরো কাজে সাহায্য করবেন বিএলএ-রা। এরমধ্যে যদি কোনও পরিবার বিএলও আসার খবর না পান, বা কোনওভাবে ওই দিন পার হয়ে যায় তাহলেও চিন্তা নেই। একবার নয়, তিন থেকে চারবার নির্দিষ্ট এলাকায় যাবেন বিএলও। এদিকে গড়ে কোনও এলাকার এক একটি বুথে ভোটার সংখ্যা ১২০০-র কাছাকাছি। তাই তাঁরা যদি তাঁধের কাজের সময়সীমার মধ্যে দিন প্রতি ১৫ থেকে ২০টি বাড়িতে যান তাহলেই কিন্তু শেষ হয়ে যাবে পুরো সমীক্ষা।