Howrah-Sector V Metro: জুড়ছে শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড, East-West Metro কতটা বদলে দেবে শহরের চালচিত্র?
Kolkata East-West Metro: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সম্পূর্ণ চালু হয়ে গেলে সমস্যায় পড়বেন বাস, অটো ওয়ালারা? নাকি দারুণ সুবিধা হবে হাওড়া, হুগলি থেকে সেক্টর ফাইভ ডেলি প্যাসেঞ্জারি করা সাধারণ মানুষের?

কলকাতার গর্ব, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। যে মেট্রোর পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল ১৯২১ সালে, সেই মেট্রো সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হতে সময় লেগে গেল প্রায় ১০৪ বছর। এ তো গেল ইতিহাসের কথা। কিন্তু আগামীতে কী হবে? ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সম্পূর্ণ চালু হয়ে গেলে সমস্যায় পড়বেন বাস, অটো ওয়ালারা? নাকি দারুণ সুবিধা হবে হাওড়া, হুগলি থেকে সেক্টর ফাইভ ডেলি প্যাসেঞ্জারি করা সাধারণ মানুষের?
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো শুধু হাওড়া ও কলকাতাকে গঙ্গার নীচে দিয়ে জুড়ছে এমনটা নয়। শহরের দুই প্রধান রেল স্টেশন একে অপরের সঙ্গে যেমন জুড়ছে। তেমনই তার সঙ্গে জুড়ছে কলকাতার আইটি হাব সেক্টর ফাইভও। এ ছাড়াও উত্তর-দক্ষিণ লাইনের এসপ্ল্যানেড স্টেশনের সঙ্গেও জুড়ছে এই লাইন। ফলে হাওড়ায় বা শিয়ালদহে নেমে শহরের যে কোনও প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া যাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই।
হাওড়া হয়ে সেক্টর ফাইভে চাকরি করতে যাওয়া মানুষদের সমস্যারও দারুণ এক সমাধান করছে এই মেট্রো। এতদিন হুগলির দিক থেকে মেন লাইন ও কর্ড লাইনে আসা মানুষজন বালি স্টেশনে নেমে স্টেশন ও ট্রেন বদলে আবার ট্রেন ধরে বিধাননগর রোড হয়ে অটো বা বাসে ঝুলে ঝুলে সেক্টর ফাইভ পৌঁছাতেন। কিন্তু এই মেট্রো তাঁদের হাওড়া থেকে মাত্র ৩৫ মিনিটেই পৌঁছে দেবে সেক্টর ফাইভ। এ ছাড়াও হাওড়া রুরাল বা আর্বান এলাকা থেকে যাঁরা আসতেন তাঁরা কেউ সাঁতরাগাছি থেকে বাসে বা কেউ হাওড়া স্টেশন থেকে বাসে করে আসতেন সেক্টর ফাইভ। আর এই রাস্তায় সময় লেগে যেত দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। আর এই মেট্রো চালু হয়ে গেলে সেই সময় এক ধাক্কায় কমে যাবে প্রায় ১ ঘণ্টা।
যে সব মানুষ আজকের দিনে নিজের গাড়ি বা বাইক নিয়ে যাতায়াত করেন, তাঁদের উপর চাপ একটু কমবে। কারণ, ক্রমবর্ধমান তেলের খরচে এমনিই নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। আর তাঁরা মেট্রোর মতো দ্রুত গণপরিবহণের মাধ্যম পেলে গাড়ির বদলে মেট্রোতেই চড়বেন সে কথা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। এর ফলে কমবে রাস্তায় যানজটও।
মেট্রোর তথ্য বলছে হাওড়া থেকে এসপ্ল্যানেড ও শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভের মধ্যে যে মেট্রো চলে তাতে দৈনিক গড়ে ১ লক্ষের মতো যাত্রী হয়। কিন্তু মেট্রো আশা করছে হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ, এই স্ট্রেচের মধ্যে এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহ জুড়ে গেলেই বাড়বে যাত্রীর সংখ্যা। দৈনিক প্রায় ৬ লক্ষ যাত্রীর আশা করছে মেট্রো। তারপর সামনেই পুজো ফলে, মেট্রোর যাত্রী সংখ্যা সেই সময় দৈনিক কোথায় পৌঁছবে তা এখন হিসাব করা একপ্রকার অসম্ভব।
এ ছাড়াও মেট্রো চালু হলে সল্টলেক ও সংলগ্ন এলাকার জমি ও বাড়ির দাম বাড়বে হু হু করে। কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে সেই এলাকায় জনসংখ্যাও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। তবে, যাই হোক না কেন, কলকাতা ও শহরতলির মানুষের কাছে এই মেট্রো যে বিরাট একটা স্বস্তি নিয়ে আসবে, সে কথা বলতে আর অপেক্ষা রাখে না।
