Bidhannagar Suicide: মেঝেতে স্ত্রীর গলা কাটা দেহ, ঝুলছে স্বামী, রক্তেভেজা ঘরে কাতরাচ্ছে মেয়ে
Bidhannagar Suicide: মৃতেদের নাম সাগর মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রূপা মুখোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, সাগরবাবু পেশায় ঔষধ ব্যবসায়ী। শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঘটনার কথা জানাজানি হয় এলাকায়। তারপর থেকেই ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য।
কলকাতা: খাস কলকাতার বুকে দু-দু’টি মৃত উদ্ধার। একটি বহুতল আবাসন থেকে স্বামী ও স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেয়েকে ভর্তি করা হয়েছে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ওই ব্যক্তি মানসিক অবসাদ থেকে প্রথমে ছুরি দিয়ে নিজের স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করেছে। তারপর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বিধাননগরের নারায়ণপুর থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে।
কী ঘটেছে?
মৃতেদের নাম সাগর মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রূপা মুখোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, সাগরবাবু পেশায় ঔষধ ব্যবসায়ী। শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঘটনার কথা জানাজানি হয় এলাকায়। তারপর থেকেই ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। এলাকাবাসী সূত্রে খবর, সাগরবাবু দোকানে একজন কর্মচারী আজ সকালে ফোন করেন তাঁকে। বারংবার ফোনে না পেয়ে পাশের বাড়ির একজনকে সাগরবাবুকে ডেকে দিতে বলেন। তখন সেই প্রতিবেশী দরজা ধাক্কা দিতেই চোখ ওঠে কপালে।
তিনি ভিতরে গিয়ে দেখেন গোটা বাড়ি ভরে গিয়েছে রক্তে। খবর দেওয়া হয় নারায়ণপুর থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আপাতত মেয়ে রূপসা আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানেই ভর্তি রয়েছেন। সাগর এবং তাঁর স্ত্রী রূপাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এলাকাবাসী জানিয়েছেন,ওষুধ ব্যবসায়ী ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। দেনা মেটাতে না পারায় প্রথমে ছুরি দিয়ে স্ত্রী ও মেয়ে গলায় কোপ মারেন। তারপর নিজে আত্মঘাতী হন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে তবেই জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ।
স্থানীয় এক বাসিন্দা ইন্দিরা পাল বলেন,”ওরা সকলের সঙ্গেই মেলামেশা করতেন। ভালভাবেই কথা বলতেন। হঠাৎ কী হল কে জানে।” পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা বলেছেন, “একটা সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। কিছু ফোন উদ্ধার হয়েছে। যে দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সেটি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবে সুইসাইড নোটে কী লেখা ছিল তা শেয়ার করা যাবে না। মেয়ের চিকিৎসা চলছে। উনি সুস্থ হলে বাকিটা জানা যাবে।”