Kalyan Banerjee: ‘সেদিন মহুয়ার পাশে আমি ছিলাম…’, অতীত মনে করিয়ে আবেগঘন পোস্ট কল্যাণের

Kalyan Banerjee: ৮ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন কল্যাণ। যেখানে সংসদে কল্যাণকে মহুয়া মৈত্রের হয়ে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে। ওইদিন কল্যাণ লোকসভায় ৫ মিনিট বলার পর বেল পড়ে। তখন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে তিনি অনুরোধ করেন, 'আপনাকে সময় দিতে হবে স্যার। আপনি মহুয়া মৈত্রকে বলার সুযোগ দেননি। আমাকে বলার সুযোগ দিন।"

Kalyan Banerjee: সেদিন মহুয়ার পাশে আমি ছিলাম..., অতীত মনে করিয়ে আবেগঘন পোস্ট কল্যাণের
মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে এবার কী বললেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়?Image Credit source: TV9 Bangla

Aug 05, 2025 | 1:46 PM

কলকাতা: দু’জনেই তৃণমূলের সাংসদ। কিন্তু, তাঁদের দ্বন্দ্ব এখন সর্বজনবিদিত। একজন অপরজনকে ‘শূকর’ বলে আক্রমণ করছেন। আবার অন্যজন বলছেন, “ভাল ভাল শাড়ি পরলেই তো আর বড় কেউ হওয়া যায় না।” এবার ফের কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে নিশানা করলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মহুয়াকে ‘অকৃতজ্ঞ’ বলে আক্রমণ করলেন কল্যাণ। এক্স হ্যান্ডলে ২০২৩ সালে লোকসভায় মহুয়া মৈত্রের হয়ে তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করলেন।

২০২৩ সালে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ করেছিলেন, সংসদে আদানিদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করার জন্য দুবাইয়ের ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে উপহার ও নগদ টাকা নিয়েছেন মহুয়া। এথিক্স কমিটির সুপারিশে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করেছিলেন স্পিকার ওম বিড়লা। সেইসময় সংসদে মহুয়ার হয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে এক্স হ্যান্ডলে আবেগঘন একটি পোস্ট করেন কল্যাণ। সেখানে লিখেছেন, “২০২৩ সালে সংসদে যখন শ্রীমতি মৈত্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন, তখন আমি তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। বাধ্যবাধকতায় নয়, দৃঢ় বিশ্বাসের কারণে ওঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। আর আজ, তিনি আমাকে একজন নারী-বিদ্বেষী বলে সেই সমর্থনের প্রতিদান দিচ্ছেন। যাঁর মৌলিক কৃতজ্ঞতার অভাব রয়েছে, তাঁকে রক্ষা করার জন্য আমি জাতির কাছে ক্ষমা চাইছি। জনগণ তাঁর মন্তব্যগুলো দেখুন এবং সেই অনুযায়ী বিচার করুন।

এই পোস্টের পাশাপাশি ৮ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন কল্যাণ। যেখানে সংসদে কল্যাণকে মহুয়া মৈত্রের হয়ে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে। ওইদিন কল্যাণ লোকসভায় ৫ মিনিট বলার পর বেল পড়ে। তখন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে তিনি অনুরোধ করেন, “আপনাকে সময় দিতে হবে স্যার। আপনি মহুয়া মৈত্রকে বলার সুযোগ দেননি। আমাকে বলার সুযোগ দিন।” বারবার সময় দেওয়ার অনুরোধ জানান। লোকসভার অধ্যক্ষ যখন বক্তব্য সমাপ্ত করার জন্য বলেন। তখন আর একটু সময় চান কল্যাণ। শেষ পর্যন্ত মহুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করে বক্তব্য শেষ করেন কল্যাণ।

প্রসঙ্গত, দলের দুই সাংসদের সংঘাত যে বরদাস্ত করা হবে না, গতকাল সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে নাম না করে বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকের পর লোকসভায় দলের চিফ হুইপের পদে ইস্তফা দেন কল্যাণ। একইসঙ্গে গতকাল মহুয়াকে তোপ দেগে বলেছিলেন, “ইংরেজি বলা সুন্দরী মহিলার যদি দলে দাম থাকে, তাহলে থাকবে। একজন এমপি-কে গালাগাল দিচ্ছে, বোঝাই যাচ্ছে কী কালচার। ভাল ভাল শাড়ি পরলেই তো আর বড় কেউ হওয়া যায় না।” তারপর এদিন ফের মহুয়াকে ‘অকৃতজ্ঞ’ বলে তোপ দেগে সরব হলেন। এখন দেখার, মহুয়া এর কী জবাব দেন।