কলকাতা: “আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আমি কিন্তু দোষী প্রমাণিত হইনি। কিন্তু তাও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।” ফের যখন নারদ মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে জোর চর্চা বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়, তখনই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। প্রসঙ্গত, দু’দিন আগেই ইডি দফতরে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজিরা শেষে সিজিও থেকে বেরিয়ে নারদ কাণ্ড নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছিল অভিষেককে। তোলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের দাবি। প্রসঙ্গত, শুধু ফিরহাদ নন, নারদ কেসে নাম জড়ায় মদন মিত্র, সৌগত রায়, মুকুল রায় সহ একাধিক নেতার।
এদিকে নারদ স্টিং অপারেশন যিনি করেছেন সেই ম্যাথু স্যামুয়েলকে ১৮ সেপ্টেম্বর ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। এই প্রেক্ষাপটে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের এ মন্তব্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কেউ কেউ বলছেন, এক ঢিলে দুই পাখি হয়তো মারতে চাইলেন ফিরহাদ হাকিম। একদিকে অভিষেককে দিতে চাইলেন বার্তা, আবার বার্তা দিলেন বিরোধীদেরও।
বুধবার সিজিও থেকে বেরিয়ে অভিষেক বলেন, “নারদে অভিযুক্ত সবাইকে গ্রেফতার করা হোক। শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়ে শুরু করা হোক।” প্রসঙ্গত, যখন এই কেস সামনে আসে তখন তৃণমূলেই ছিলেন শুভেন্দু। অভিষেকের দাবি, “যাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর রয়েছে, তাঁদের তোলা হোক। শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়ে শুরু করা হোক।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যেহেতু নারদ মামলায় শাসকদলের একাধিক তাবড় তাবড় নেতার নাম জড়িয়ে গিয়েছে সে ক্ষেত্রে শুভেন্দুকে আক্রমণ করতে গিয়ে ঘুরপথে তাঁদেরও অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মতে, অভিষেকের মূল টার্গেট শুভেন্দু অধিকারী নন, ফিরহাদ হাকিম। যদিও আগেই ফিরহাদকে সুকান্তর ব্যখ্যা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি তা এড়িয়ে যান। একপ্রকার পাত্তা না দিয়ে বলেছিলেন ‘ছাড়ুন তো’। এরইমধ্যে এবার দিলেন নয়া ব্যাখ্যা।