কলকাতা: অবশেষে কাটল নবান্ন-রাজভবন জট? রাজভবন থেকে সরানো হল আইএএস অফিসার নন্দিনী চক্রবর্তীকে (Nandini Chakraborty)। তাঁকে পর্যটন দফতরে প্রধান সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হল। বুধবারই নবান্নের (Nabanna) তরফ থেকে ওই আধিকারিকের পদ পরিবর্তনের নোটিস দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত পর্যটন দফতরের ওই পদেই থাকবেন নন্দিনী। গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের এই আমলাকে নিয়ে জল্পনা বাড়ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর মধ্যে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়, সেখানে নন্দিনী চক্রবর্তীকে নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তারপরই বুধবার এই আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে সরানোর কথা জানাল নবান্ন। তিনি আগেও পর্যটন দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন। বর্তমানের ওই দফতরের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
সোমবার জানা যায়, রাজ্যপাল নন্দিনী চক্রবর্তীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও অফিসে যাচ্ছিলেন তিনি। নবান্ন থেকে তাঁকে সরানো হচ্ছিল না। বুধবার নির্দেশিকা জারির পর সেই জট কাটল বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যপালের প্রতীকী হাতেখড়ি অনুষ্ঠানের পর বিরোধী দলের নেতাদের মুখে নন্দিনী চক্রবর্তী প্রসঙ্গে নানা মন্তব্য শোনা যায়। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বলেও উল্লেখ করেছিলেন বিজেপি নেতারা।
রাজভবন থেকে নন্দিনীকে সরানোর সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার সৌজন্য দেখাল। রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের প্রতি সৌজন্য দেখাল। রাজভবন একজন দক্ষ অফিসারকে সরিয়ে অসম্মান করা হল। একজন মহিলাকে অসম্মান করা হল। বাকিটা রাজভবন এবং রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক বিষয়। এ নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই।’ কুণালের দাবি, রাজ্যপাল এই কাজটা না করলেই পারতেন।
১৯৯৪ ব্যাচের আইএএস অফিসার নন্দিনী চক্রবর্তী। রাজ্যের একাধিক দফতরের সচিব পদ সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। লা গণেশন যখন বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন, তখনই রাজভবনের সচিব পদে দায়িত্ব পান নন্দিনী চক্রবর্তী। তাঁর আগে রাজ্যপালের সচিব পদের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন সুনীল কুমার গুপ্তা।