কলকাতা: টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতের পদ বিলি। দলের অস্বস্তি বাড়িতে বিস্ফোরক ইদ্রিস আলি। শুক্রবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়েই তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি বলেন, “টিকিট দেওয়ার নাম করে ব্লক সভাপতি টাকা নিয়েছেন। ভগবানগোলা ২ যে ঘটনা ঘটেছে, কিছু না হলেও ৩০-৪০ লক্ষের গল্প রয়েছে। ব্লক সভাপতি মিলে সকলে আলোচনা করে আগের রাতেই পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষের নাম ঠিক হয়েছে। পরদিনই বিডিও-র কাছে গিয়ে হঠাৎ দেখি সেই জায়গায় অন্যের নাম। আমাদের পরিবর্তনের দরকার। ব্লক সভাপতিদের সব থেকে বেশি বদলের প্রয়োজন।”
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদ জেলারই ভগবানগোলার আরেক বিধায়ক হুমায়ুন কবির কার্যত এই ধরনেরই মন্তব্য করেছিলেন। তারপরই আবার একই জেলার রেজিনগরের বিধায়ক ইদ্রিস আলির এই মন্তব্য যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। স্বাভাবিকভাবে এটা শাসকদলের কাছে অস্বস্তির কারণ।
এখনও পর্যন্ত অবশ্য ইদ্রিস আলি সম্পর্কে দল কোনও রকমের মন্তব্য করেনি। পদক্ষেপও করেনি। পরবর্তী সময়ে তাঁকে ডেকে আবারও সচেতন করে দেওয়া হবে কিনা, সেটা দেখার। পদ নিয়ে টাকার লেনদেনের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এর আগে বিরোধী দলেপ পক্ষ থেকেও শাসকদলের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ উঠেছে। এবার ইদ্রিস আলির মন্তব্যে আরও তেড়েফুড়়ে উঠেছেন বিরোধীরা।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূলের যা হাল হওয়ায় তাই হয়েছে। ভাগাভাগির অঙ্কের মিল হচ্ছে না বলেই এখন এই ধরনের সমস্যা প্রকাশ্যে আসছে।”
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ইদ্রিস আলির কথা শুনলে তো গাধাও হাসবে। তৃণমূলের এই চুরির খেলা তো অনেক আগে থেকেই।”