Railway Network: কাজ করবে AI, ৭৭ কোটি খরচে রেল বসাচ্ছে IDS

Railway Network: ৪১৩ কিমি রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে ১৪৬ কিলোমিটার করিডরের অংশে এই নয়া অপটিক্যাল ফাইবার সেন্সর বসানোর কাজ দ্বিতীয় পর্যায়ে শুরু হয়েছে। বাকিটা হাতি করিডর নয়, সেখানেও ওই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কুমার শর্মা।

Railway Network: কাজ করবে AI, ৭৭ কোটি খরচে রেল বসাচ্ছে IDS

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Oct 22, 2025 | 8:14 PM

আলিপুরদুয়ার: সতর্কতা থাকলেও রয়ে যাচ্ছে চিন্তা। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনে মাসখানেক আগেও ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে হাতির। রেল চালকদের প্রত্যেকের না হলেও বেশ কয়েকজনের অসচেতনতার জন্য এই ঘটনা ঘটছে বলে দাবি পশুপ্রেমীদের। এই পরিস্থিতি এড়াতে রেলের তরফে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল তার নেটওয়ার্ক জুড়ে বসিয়ে দিল ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম (আইডিএস) ব্যবস্থা।

মোট প্রকল্পের বরাদ্দ ধার্য করা হয়েছে ৭৭ কোটি টাকা। রেলপথের সুরক্ষার পাশাপাশি হাতির মৃত্যু ঠেকাতে নয়া এই সেন্সর উত্তর-পূর্ব সীমান্তের রেল নেটওয়ার্কের প্রতিটি কোণে কোণে বসানো হয়েছে। যে সব এলাকায় রেললাইন মূলত বনাঞ্চল এবং হাতি অধ্যুষিত অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে যায়, সেই এলাকায় সমীক্ষা করে এই যন্ত্র বসানো হয়েছে।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের চারটি গুরুত্বপূর্ণ সেকশনে আইডিএসের পরীক্ষামূলক কাজ সফলভাবে চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের অধীনে রয়েছে মাদারিহাট-নাগরাকাটা সেকশন, লামডিং ডিভিশনের অধীনে রয়েছে হাবাইপুর-লামসাখং-পাথরখোলা-লামডিং সেকশন, রঙিয়া ডিভিশনের অধীনে রয়েছে কামাক্ষ্যা-আজারা-মির্জা সেকশন এবং তিনশুকিয়া ডিভিশনের অধীনে তিতাবর-মরিয়নি-নকচারি সেকশন।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সূত্র খবর, প্রথম পর্যায়ে মোট ৬৪.০৩ কিমি হাতি করিডরের মধ্যে এবং বাকি ১৪১ কিমি ব্লক সেকশন জুড়ে এই নয়া সেন্সর ব্যবস্থা বসানো হয়েছে।

বাকি থাকা ৪১৩ কিমি রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে ১৪৬ কিলোমিটার করিডরের অংশে এই নয়া অপটিক্যাল ফাইবার সেন্সর বসানোর কাজ দ্বিতীয় পর্যায়ে শুরু হয়েছে। বাকিটা হাতি করিডর নয়, সেখানেও ওই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কুমার শর্মা।

আগামী ২০২৬ সালের এপ্রিলের মধ্যে গোটা কাজ শেষ হয়ে যাবে বলেই জানিয়েছেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের কর্তারা। এই সিস্টেম আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই ব্যবহার করে রেললাইন বরাবর হাতি বা অন্য কোনও বন্যপ্রাণীর উপস্থিতি শনাক্ত করে। এটি শনাক্তকরণের পর চালকদের সতর্ক করার জন্য একটি সঙ্কেত পাঠায়। এই প্রযুক্তি হাতি এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণীর নড়াচড়া শনাক্ত করতে সাহায্য করে, যা তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।