Kolkata Police: ‘রক্ষকই যদি ভক্ষক হয় তাহলে সমাজ কী করবে!’ কলকাতা পুলিশকে তীব্র ভৎর্সনা বিচারকের

Kolkata Police: শুরুতে এই মামলার তদন্ত কলকাতা পুলিশ করলেও পুলিশের বিরুদ্ধেই গুরুতর অভিযোগ তুলে থাকে সরকার পরিবার। তাঁদের সাফ অভিযোগ, তদন্তে পক্ষপাতিত্ব করছে পুলিশ। পরবর্কীতে আদালতের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের কাছে।

Kolkata Police: ‘রক্ষকই যদি ভক্ষক হয় তাহলে সমাজ কী করবে!’ কলকাতা পুলিশকে তীব্র ভৎর্সনা বিচারকের
প্রতীকী ছবি Image Credit source: Social Media

| Edited By: জয়দীপ দাস

Jul 18, 2025 | 4:19 PM

কলকাতা: অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় এবার আদালতে হাজিরা দিলেন নারকেলডাঙ্গা থানার তৎকালীন ওসি শুভজিৎ সেন, তৎকালীন সাব ইন্সপেক্টর রত্না সরকার ও হোমগার্ড দীপঙ্কর। তবে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করায় হাজিরা দেননি বেলেঘাটা বিধায়ক পরেশ পাল ও দুই কাউন্সিলর। 

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন  ২ মে বিকালে কাঁকুড়গাছিতে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। তখনই পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। সিবিআইকে দেওয়া বয়ানে তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ ছিল, দুষ্কৃতীরা তাঁর ভাইকে পিটিয়ে খুনের পর ঘটনাস্থলে থাকা রক্ত ধুয়ে দেওয়া হয়। আর তা করেন নারকেলডাঙা থানার তৎকালীন ওসি শুভজিৎ সেন। 

বিশ্বজিতের আরও দাবি ছিল, তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে নমুণা সংগ্রহের বদলে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে অভিযুক্তদের দিয়ে প্রমাণ নষ্টের চেষ্টা করেন শুভজিৎ সেন। গুরুতর অভিযোগ ওঠে নারকেলডাঙা থানার সাব ইন্সপেক্টর রত্না সরকারের বিরুদ্ধেও। অভিজিতের মাকে দিয়ে তিনি সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে ছিলেন ওই হোমগার্ডও। 

আগেই এই সব তথ্য উঠেছিল আদালতে। যা নিয়ে চাপানউতোরও কম হয়নি। এদিন ফের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রোহন সিনহাকে। তাঁর সাফ কথা, ‘রক্ষকই যদি ভক্ষক হয় তাহলে সমাজ কী করবে! সমাজ অর্থাৎ আপনি-আমি।’ প্রসঙ্গত, শুরুতে এই মামলার তদন্ত কলকাতা পুলিশ করলেও পুলিশের বিরুদ্ধেই গুরুতর অভিযোগ তুলে থাকে সরকার পরিবার। তাঁদের সাফ অভিযোগ, তদন্তে পক্ষপাতিত্ব করছে পুলিশ। পরবর্কীতে আদালতের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের কাছে।