কলকাতা: মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় হবে বাবরি মসজিদ। মাসখানেক আগে ঘোষণা করেছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এরপর মুর্শিদাবাদের প্রতি বিধানসভা কেন্দ্রে রামমন্দির গড়ার কথা জানায় বঙ্গীয় হিন্দু সেনা। এবার হুমায়ুন কবীর প্রস্তাব দিলেন, বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের পাশে রামমন্দির তৈরি হোক। বঙ্গীয় হিন্দু সেনা চাইলে তিনি জমি সংগ্রহ করে দেবেন বলে জানালেন।
কয়েকদিন আগে বঙ্গীয় হিন্দু সেনার সভাপতি অম্বিকানন্দ মহারাজ জানান, আগামী ২২ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদে একটি রামমন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে। সোমবার এই নিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, “আমি আগেও বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছিলাম। আবার বলছি, ওই রামমন্দির নির্মাণে আমার যদি কোনও সহযোগিতা প্রয়োজন হয়, আমি সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”
এরপরই বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের প্রসঙ্গ তুলে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “বাবরি মসজিদের জন্য জমি দেখেছি। ইতিমধ্যে ৬ বিঘা জমি চূড়ান্ত করা হয়েছে। আশপাশে আরও ৬ বিঘা জমি দেখা হচ্ছে। বাবরি মসজিদ ট্রাস্ট গঠন করা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ওই ট্রাস্টের নামে জমি রেজিস্ট্রেশন হবে। এবছরের ৬ ডিসেম্বর ঘটা করে বাবরি মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে।” বাবরি মসজিদের পাশে হাসপাতাল, রিসর্ট হবে বলে তিনি জানান। ২০২৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে আশাবাদী হুমায়ুন।
বাবরি মসজিদের পাশে রামমন্দির গড়ার প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, “মুর্শিদাবাদে যাঁরা রামমন্দির তৈরি করছেন, তাঁদের কাছে আমার প্রস্তাব, তাঁরা যদি ওখানেও রামমন্দির তৈরি করতে চান, তাহলে আমার অর্থ সাহায্যে জমি সংগ্রহ করে দেব।”
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা তুলে ধরে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “বাবরি মসজিদের পাশে জমি আমি সংগ্রহ করে তাঁদের হাতে তুলে দেব। তাঁরা রামমন্দির বানান।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলা যেটা আগে করে, সেটা ভারতবর্ষের মানুষ পরে ভাবে। এটার ক্ষেত্রেও আমরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করি। মুর্শিদাবাদের মানুষ হিসেবে পূর্বের যে ইতিহাস, তার পুনরাবৃত্তি করি। সম্রাট আকবর, সম্রাট সিরাজদৌল্লাকে আর একবার স্মরণ করি। হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতি বজায় রেখে বাবরি মসজিদের পাশে রামমন্দির হোক।”