বেহালা: বেহালায় (Behala) ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মারার ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত প্রদীপ অধিকারী। শুধু প্রদীপ নন, পুলিশের দাবি গোটা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রদীপের স্ত্রী ও মেয়ে। সেই কারণে তাঁদেরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার (আজ) অভিযুক্ত প্রদীপ অধিকারীকে তোলা হবে আলিপুর আদালতে। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। সেই ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
পুলিশ মনে করছে আক্রমণের এই ঘটনা পরিকল্পনা মাফিক। কারণ পুলিশের দাবি প্রদীপ অধিকারী নিজের দোকানে আগে থেকেই কাটারি ধার দিয়ে রেখেছিলেন। আর সেই বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত ছিলেন প্রদীপের স্ত্রী ও মেয়ে। পাশাপাশি এই পরিকল্পনার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তাঁরা। তার জেরেই এ দিন গ্রেফতার হন প্রদীপের স্ত্রী ও মেয়ে।
অপরদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত সাতজনকে শনিবারই বিদ্যাসাগর স্টেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। একজনকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। তবে আর একজনের প্লাস্টিক সার্জারি করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার বেহালার সরশুনার রাখাল মুখার্জি রোডে বেলা ২টো নাগাদ হাড়হিম করা ঘটনা ঘটে যায়। প্রদীপ অধিকারী নামে স্থানীয় এক দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে ধারাল কাটারি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারার অভিযোগ ওঠে।
জানা গিয়েছে, প্রদীপের পরিবারের সঙ্গে এক দোকানির ঝামেলা চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এরপর গতকাল তা গোলমাল চরম আকার নেয়। অভিযোগ, এরপরই বাড়িতে ঢুকে ধারাল কাটারি দিয়ে কোপ মারতে থাকেন পরিবারের লোকজনকে। যাঁরাই বাধা দিতে আসেন, তাঁদের উপরই ওই দোকান মালিক ধেয়ে যায় বলে অভিযোগ। আহত হন মোট সাতজন। এর মধ্যে চারজন মহিলা, তিনজন পুরুষ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সরশুনা থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ অধিকারীকে। এরপর আজ গ্রেফতার হন প্রদীপের স্ত্রী ও মেয়ে।