কলকাতা: রবিবার ছিল তিলোত্তমার জন্মদিন। সেই দিন তাঁর বাবা-মা নাগরিক সমাজকে বিচারের দাবিতে পথে নামার আবেদন করেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে পথে নামেন প্রচুর মানুষ। চিকিৎসকদের একাংশ থেকে শুরু করে বিনোদন জগতেরও অনেককে দেখা যায় পথে নামতে। মেয়ের জন্য পথে নামেন তিলোত্তমার মা-বাবাও। কলেজ স্কোয়ার থেকে মৌন মিছিল হয় আরজি কর পর্যন্ত।
আরজি করের ঘটনার ছ’মাস কেটেছে। গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে কত জল। কিন্তু বিচার পেয়েছেন কি নির্যাতিতা? এ দিনের মিছিল থেকে স্লোগান উঠল। ‘আসল মাথা ধরো’। অনেকেই বলছেন, “একা সঞ্জয় রায় নয়। মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছেন আরও অনেকে। তাদের সামনে নিয়ে আসতে হবে।” গোটা রাজ্যজুড়ে তিলোত্তমার জন্য পথে নামেন সাধারণ মানুষজন।
এ দিন, শুধু নাগরিক সমাজ নয়, পথে নামে রাজনৈতিক দলগুলিও। বাম-কংগ্রেস-বিজেপি সকলেই নিজের নিজের মতো কর্মসূচি পালন করেন। এ দিন, তিলোত্তমার বাড়ির সামনে তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মোমবাতি জ্বালিয়ে , ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন শুভেন্দু। তিলোত্তমার মা-বাবার সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
যদিও, আজ আবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকে বলেন, “যাঁরা বলছেন আসল অপরাধী এখনও আরজি করে লুকিয়ে রয়েছে। পরিষ্কার করে বলছি তদন্ত শেষ হয়েছে। কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সিবিআই মান্যতা দিয়েছে। শিয়ালদহ কোর্ট সাজা দিয়েছে। তবে যাঁরা আজ রাস্তায় নেমে বলছে আসল দোষী…আসল দোষী বলছেন, আদতে তাঁরা সঞ্জয় রায়কে বাঁচাতে নেমেছেন।” এই সকলদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদেরও দাবি জানান কুণাল।