Indian Navy: ১০ বছরে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি, পরিকল্পনা সারা

Indian Navy strength: বর্তমানে নৌবাহিনীর হাতে রয়েছে ১৪০টি যুদ্ধজাহাজ ও ১৭টি সাবমেরিন। এছাড়া ২৫০টির বেশি এয়ারক্রাফট ও হেলিকপ্টার রয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী দশকে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ২০০-র বেশি জাহাজ ও সাবমেরিন এবং ৩৫০টির মতো এয়ারক্রাফট করা হবে।

Indian Navy: ১০ বছরে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি, পরিকল্পনা সারা
শক্তি বাড়ছে ভারতীয় নৌসেনারImage Credit source: PTI

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Sep 16, 2025 | 6:59 AM

কলকাতা: আত্মনির্ভর ভারত। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সামরিক সরঞ্জাম বাড়ছে। নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা। দশ বছর পর নৌসেনার শক্তি কেমন হতে চলেছে, তারও পরিকল্পনা সারা হয়েছে। ২০৩৫ সালের মধ্যে ২০০-র বেশি যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন নিজেদের আস্তিনে রাখাই ভারতীয় নৌবাহিনীর লক্ষ্য। এতে চিন ও পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান সমুদ্র-চ্যালেঞ্জের সহজেই মোকাবিলা করা যাবে বলে নৌবাহিনীর আধিকারিকরা মনে করছেন।

বর্তমানে ভারতীয় নৌবাহিনীর ৫৫টি ছোট-বড় যুদ্ধজাহাজ দেশীয় শিপইয়ার্ডে নির্মাণাধীন রয়েছে। যার জন্য ব্যয় হবে প্রায় ৯৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আরও ৭৪টি যুদ্ধজাহাজ ও ভেসেল নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যার জন্য খরচ হবে প্রায় ২.৩৫ লাখ কোটি। এছাড়া একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে।

কী কী পরিকল্পনায় রয়েছে-

  • ৯টি নতুন ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন
  • ৭টি স্টেলথ ফ্রিগেট
  • ৮টি অ্যান্টি-সাবমেরিন করভেট
  • ১২টি মাইন কাউন্টারমেজার ভেসেল
  • ৪টি নতুন প্রজন্মের ডেস্ট্রয়ার (১০,০০০ টন ডিসপ্লেসমেন্ট)। যদিও সংখ্যাটা বেড়ে ৮ হওয়ার সম্ভাবনা।
  • দ্বিতীয় এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার

বর্তমানে নৌবাহিনীর হাতে রয়েছে ১৪০টি যুদ্ধজাহাজ ও ১৭টি সাবমেরিন। এছাড়া ২৫০টির বেশি এয়ারক্রাফট ও হেলিকপ্টার রয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী দশকে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ২০০-র বেশি জাহাজ ও সাবমেরিন এবং ৩৫০টির মতো এয়ারক্রাফট করা হবে।

পাকিস্তান ইতিমধ্যে হাঙর-ক্লাস সাবমেরিন আনছে। যার ফলে তাদের সমুদ্র-ক্ষমতা কিছুটা বাড়বে। তবে চিনের সাবমেরিন কোয়ালিটি সবসময় প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের হাঙর ক্লাস সাবমেরিন আসলে পুরনো সোভিয়েত আমলের কিলো ক্লাসের চাইনিজ কপি। চিনও ভারত মহাসাগরে তাদের উপস্থিতি দ্রুত বাড়াচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে ভারতের জন্য নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা এখন জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রধান অগ্রাধিকার।