কলকাতা : শাসকের নজর এবার বামে। শুরু হয়েছে বাম দুর্নীতির ময়নাতদন্ত। নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। শীঘ্রই প্রকাশ হবে শ্বেতপত্র, বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বাম দুর্নীতির তালিকা সামনে এসে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। নাম জড়িয়েছে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর (Sujan Chakraborty)। তাঁর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর নিয়োগ নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু করেছে তৃণমূল। উঠেছে তদন্তদের দাবি। যদিও বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu) সাফ জানাচ্ছেন, তদন্তে ভয় নেই তাঁদের। জলের মতোই স্বচ্ছ ছিল বামফ্রন্ট সরকার।
বিমানের সাফ দাবি, যে সময় সুজনের স্ত্রী চাকরি পেয়েছিলেন তখনও কলেজে অশিক্ষিক কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলাগতভাবে বা রাজ্যগতভাবে পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল না। নিজেরাই নিয়োগ করতো কলেজগুলি। এই প্রক্রিয়াতেই চাকরি হয়েছিল মিলি দেবীর। তবে নিয়মমাফিক কোনও নিয়োগ না হয়ে থাকলে শাস্তির পক্ষেও সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এ প্রসঙ্গে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিমান বলেন, “১৯৮৮ পর্যন্ত কলেজে অশিক্ষিক কর্মচারী নিয়োগে কোনও পরিক্ষার ব্য়বস্থা ছিল না। কলেজ নিজে নিয়োগ করত। কোনও সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ হত না। পরবর্তীতে পরীক্ষার ব্যবস্থা শুরু হয়। খুব সম্ভবত সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী ১৯৮৭ সালে চাকরি পেয়েছিলেন। ফলে কলেজ নিজের মতো নিয়োগ করেছে। রাজ্যগত বা জেলাগত পরীক্ষা হয়নি। আমি যা জানি, যা আমার স্মৃতিতে আছে তা থেকে বলছি।”
এখানেই না থেমে বিমান আরও বলেন, “তদন্ত করতে চাইলে করুক না। কোনও অসুবিধা নেই। কোনও তদন্ত নিয়ে আমাদের ভয় ভীতি থাকা উচিত নয়। কারণ এটা তো কোনও টাকার পাহাড়ের বিষয় নয়। কোনও প্রতিষ্ঠান যদি নিয়োগ করে, সেটা যদি নিয়মমাফিক হয় তাহলে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু, নিয়মমাফিক না হলে যা শাস্তি হওয়ার তা হবে। কিন্তু, তদন্তে আমরা ভীত-সন্ত্রস্ত থাকি না।”