চায়ের চুমুকে মাটির গন্ধ… প্লাস্টিকের কাপ নয়, এবার ভাঁড়ে চা খাওয়াবে IRCTC

ট্রেনে সফর করছেন, আর এক কাপ ধোঁয়া ওঠা চা না হলে হয়! কিন্তু সেই চা খেয়ে প্লাস্টিকের কাপ যত্রতত্র ফেলে দেওয়াই যেন বদ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

চায়ের চুমুকে মাটির গন্ধ... প্লাস্টিকের কাপ নয়, এবার ভাঁড়ে চা খাওয়াবে IRCTC
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 24, 2021 | 9:50 PM

স্বর্ণেন্দু দাস: আর প্লাস্টিকের কাপ নয়। রেল স্টেশনে এ বার থেকে চা মিলবে মাটির ভাঁড়ে। পরিবেশ দূষণ রুখতে প্লাস্টিকের কাপকে বিদায় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। আর তার পরেই স্টেশনে স্টেশনে মাটির ভাঁড়ে চা বিক্রির তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে IRCTC। পুজোর আগেই দেশের সমস্ত ফুড প্লাজা এবং IRCTC কাউন্টারে মাটির ভাঁড়ে গরম চায়ে চুমুক দেওয়া যাবে।

ট্রেনে সফর করছেন, আর এক কাপ ধোঁয়া ওঠা চা না হলে হয়! কিন্তু সেই চা খেয়ে প্লাস্টিকের কাপ যত্রতত্র ফেলে দেওয়াই যেন বদ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আর তাতেই বছরের পর বছর দূষণ বেড়েছে রেলের কামরা থেকে স্টেশন, রেল লাইন সর্বত্র। সেই দূষণ কমাতে মাটির ভাঁড়ে চা বিক্রির নির্দেশ দিয়েছেন নতুন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তার প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছ IRCTC। রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুজোর আগেই দেশের সমস্ত ফুড প্লাজা এবং IRCTC কাউন্টারে মাটির ভাঁড়ে চা দেওয়া হবে। করোনা আর বর্ষার কারণে পর্যাপ্ত মাটির ভাঁড় মিলছে না, তাই আপাতত ট্রেনে মাটির ভাঁড়ে চা বিক্রি শুরু হচ্ছে না। তবে আগামী দিনে দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতেও চা বিক্রি হবে মাটির ভাঁড়ে।

বেশ কয়েক বছর আগে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন লালুপ্রসাদ যাদবও মাটির ভাঁড় চালুর কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ফলপ্রসূ হয়নি। এ বার হবে, এই আশায় বুক বাঁধছেন পরিবেশবিদরা। কিন্তু মাটির ভাঁড় চালু হলে চায়ের জন্য কি বাড়তি কড়ি গুনতে হবে? না তেমন দুশ্চিন্তার কারণ নেই। রেল আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, মাটির ভাঁড়ে চায়ের সর্বনিম্ন দাম থাকছে ৫ টাকা।

গবেষণা বলে, প্লাস্টিকের কাপ বানাতে সাধারণত যে যে উপাদান ব্যবহার করা হয়, সেগুলি বেশি মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে ক্লান্তি, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে যাওয়া-সহ একাধিক সমস্যায় ফেলতে পারে শরীরকে। সে ক্ষেত্রে মাটির ভাঁড় শতগুণ নিরাপদ। মাটির ভাঁড়ের সঙ্গে গ্রাম বাংলার এক অঙ্গাঅঙ্গি সম্পর্ক জড়িয়ে রয়েছে। এখনও গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় এই ভাঁড়েই চা বিক্রি করেন দোকানিরা। শহরেও এমন বহু মানুষ রয়েছেন, যাঁরা চায়ের দোকানে গেলে কাঁচের গেলাস কিংবা প্লাস্টিকের কাপের থেকে মাটির ভাঁড়ে চা পানেই অগ্রাধিকার দেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাটির ভাঁড়ে চা খাওয়া যথেষ্ট স্বাস্থ্যকরও। মাটির ভাঁড়ে চা খেলে শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না। মাটির বহু গুণ। অনেকে বলেন, মাটির মধ্যে যে অ্যালক্যালাইন রয়েছে তা অ্যাসিডের মাত্রা কমায়। ফলে যাঁরা গ্যাস, অম্বলের ভয়ে দুধ চা খেতে ভয় পান তাঁরা মাটির ভাঁড়ে কিছুটা আশ্বস্ত হতেই পারেন। সব শেষে চা-প্রেমীদের জন্য মাটির ভাঁড়ে চায়ের চুমুকের মতো সুখ-চুমুক আর কিছু হতেই পারে না। আরও পড়ুন: পাঁচ শিক্ষিকার ‘বিষপান’, একাধিক ধারায় মামলা রুজু করল বিধাননগর উত্তর পুলিশ