SIR-এর ২০১০ সালের মার্চ মাসের পর প্রদত্ত ওবিসি শংসাপত্র কি গ্রহণযোগ্য? বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

Calcutta High Court On OBC certificate: প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে ২২ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ স্পষ্ট করে দেয়, ২০১০ সালের পর দেওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল। কিন্তু এই এসআইআর আবহে এই বিষয়টি আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। হাইকোর্টে একটি মামলা হয়।

SIR-এর ২০১০ সালের মার্চ মাসের পর প্রদত্ত ওবিসি শংসাপত্র কি গ্রহণযোগ্য? বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
ফাইল চিত্র।Image Credit source: X

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 24, 2025 | 5:23 PM

কলকাতা: ২০১০ সালের মার্চ মাসের পর প্রদত্ত ওবিসি শংসাপত্র কি গ্রহণযোগ্য? এবিষয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তেমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেজন্য কমিশনকে সাত দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার নির্দেশ দেন বিচারপতি কৃষ্ণা রাও। ২০১০ সাল থেকে প্রদত্ত ওবিসি শংসাপত্র বৈধ নয় বলে আগেই জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। SIR-এ গ্রহণযোগ্য নথির মধ্যে রয়েছে জাতিগত শংসাপত্রও। এরপরেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠান এক আইনজীবী। সেবিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন। এই নিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে ২২ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ স্পষ্ট করে দেয়, ২০১০ সালের পর দেওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল। কিন্তু এই এসআইআর আবহে এই বিষয়টি আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। হাইকোর্টে একটি মামলা হয়। মামলাকারীর বক্তব্য, এসআইআর আবহে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে যাতে এই ওবিসি সার্টিফিকেট গৃহীত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

খসড়া তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে, শুনানি শুরু হবে। শুনানি পর্বে প্রামাণ্য নথি হিসাবে কমিশন ১৩টি নথির কথা উল্লেখ করেছে। তার মধ্যে রয়েছে তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং ওবিসি শংসাপত্রও। এই আবহে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের বেঞ্চে এই মামলা ওঠে।  মামলাকারী পক্ষের হয়ে আইনজীবী অরিজিৎ বক্সীর বক্তব্য, গত বছর ২২ মে হাই কোর্ট ২০১০ সালের পরে তৈরি সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিয়েছিল। আদালত জানিয়েছিল, ওই সব সার্টিফিকেট ভবিষ্যতে আর কোথাও ব্যবহার করা যাবে না। এবার সে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনকেই দায়িত্ব দিল কলকাতা হাইকোর্ট।