
কলকাতা: জোকা আইআইএম-এর ঘটনায় নয়া মোড়। নির্যাতনের ক্ষেত্রে বড় হাতিহার মেডিক্যাল পরীক্ষা, সেই পরীক্ষা করাতেও রাজি হচ্ছেন না তরুণী বলে সূত্রের খবর। ঘটনার সময় ব্য়বহৃত পোশাকও পুলিশকে দিতে নারাজ তিনি বলে খবর। পুলিশ সূত্রে এও খবর, নিজের ফোনের পাসওয়ার্ডও দিতে চাইছেন না পুলিশকে।
এ দিন, ওই নামজাদা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর একটি বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানকার প্রতিটি কর্মীর কাছে এসওপি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার ঘাটতি আর কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। শুধু তাই নয়, বেসরকারি ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য সব রকম সিসিটিভি ফুটেজ তুলে দিয়েছে। এমনকী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা কর্তব্যরত কর্মীদের বয়ান রেকর্ড করা হবে বলেও জানা যাচ্ছে।
এ দিকে, তদন্তে কার্যত পদে পদে বাধা পাচ্ছে পুলিশ। গতকালই (শনিবার) নির্যাতিতার বাবা আবার দাবি করেছেন, ধর্ষণের কোনও ঘটনা ঘটেনি। পুলিশই এইসব শারীরিক পরীক্ষার সময় নাকি ধর্ষণের কথা পুলিশই বলতে বলেছিল বলেন, “মেয়ে আমাকে জানিয়েছে ধর্ষণের মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। বাড়িতে ফেরার পরে আমায় বলে, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। এমনকী, যে গ্রেফতার হয়েছে তার সঙ্গে আমার মেয়ের কোনও সম্পর্ক নেই।” নির্যাতিতার বাবা আরও বলেন, “আমার মেয়ের সঙ্গে কথা বলে জানলাম, মেয়ে বলল না এমন কিছু হয়নি। ওকে পুলিশ বলছিল যে মেডিক্যাল করানোর সময় সে যেন বলে এগুলো।”