
কলকাতা: পাঁচ বছর আগে ভাঙড়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিল সদ্য গঠিত আইএসএফ। তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হন আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকী। আর কয়েকমাস পর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্র পুনরুদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল। ছাব্বিশের নির্বাচনে ভাঙড়ে আইএসএফ উড়ে যাবে বলে দাবি করেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। নওশাদ ও তাঁর দাদা আব্বাস সিদ্দিকীর ঘুম কেড়ে নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন। এবার শওকতকে পাল্টা দিলেন আইএসএফের প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকী। প্রয়োজনে তিনি মাঠে নামবেন বলে হুঁশিয়ারিও দিলেন।
গতকাল নওশাদকে আক্রমণ করে শওকত বলেছিলেন, “নওশাদ সিদ্দিকী সবচেয়ে বড় চোর। আর তাঁর ভাই আব্বাস সিদ্দিকী। মাথায় টুপি দিয়ে ধেই ধেই করে নাচা। ঘুম কেড়ে নেব দুই ভাইয়ের। রাতের ঘুম কেড়ে নেব। আমাদের হারানোর কিছু নেই। ভাঙড়ে আমাদের পাওয়ার আছে। একটা নবি দিবসের মঞ্চকে রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করছে। শুরু ওরা করেছে, শেষটা কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস করবে, এটা ওদের মনে রাখা উচিত।”
শওকতকে পাল্টা আক্রমণ করতে ছাড়েননি আইএসএফ নেতা তথা ফুরফুরা শরিফে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। তিনি বলেন, “কেউ যদি অত্যাচার করে, তার ঘাড়ে চেপে হলেও আমরা অত্যাচারের প্রতিবাদ করব। অত্যাচার শেষ করার জন্য যদি আমাকেও প্রকাশ্যে পুরোপুরি নামতে হয়, তাতে কোনও অসুবিধা নেই। অত্যাচার যেখানে বেশি হবে, তাকে শেষ করার জন্য নামার প্রয়োজন হলে আমি অবশ্যই নামতে রাজি আছি। না হলে এই করব, ওই করব বলার জন্য হাজার লোক রয়েছে।” তবে কি এবার ভোট ময়দানে নামছেন আব্বাস? ফুরফুরা শরিফের পীরজাদার বক্তব্যে শুরু হয়েছে জল্পনা।
শওকত ও আব্বাসের কথার লড়াই নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবারে লড়বেন বলে স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে ঘোষণা করেছিলেন নওশাদ সিদ্দিকী। আমরা সবাই হ্যাঁ বলেছিলাম। তারপর দেখা গেল, উনি আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন না। বর্তমানে যাতে অতীতের মতো অভিজ্ঞতা না হয়, তার জন্য অতীতটাকে মনে রাখতে হয়। ফলে কে কী বলছেন, এটার ভিত্তিতে মত দেওয়ার কোনও মানে নেই। কিন্তু কেউ দাঁড়ালে সমীকরণ উল্টে যাবে, এভাবে দেখা উচিত নয়।”