
কলকাতা: রাজ্যে নিষিদ্ধ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story)। একদিন আগেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) নিজেই। এদিকে ৫ মে মুক্তির পর থেকে রাজ্যের নানা প্রান্তের প্রেক্ষাগৃহগুলিতে প্রদর্শিত হচ্ছিল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। কিন্তু, আচমকা ছবি নিষিদ্ধ হওয়ায় বেকাদায় পড়েন আগে থেকে টিকিট কেটে নেওয়া দর্শকরা। বেলুড় থানার রঙ্গোলি মলে দর্শকদের কলার ধরে হল থেকে বের করে দিল পুলিশ। সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল। আবার লেক মলের হলে তখন ভিড় করে ফেলেছেন দর্শকদের দল। আচমকা ভিতরে গিয়ে স্ক্রিনিং বন্ধ করে দেয় পুলিশ (Police)। রাজ্যের নানা প্রান্তে আজ এই ছবি ধরা পড়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে উঠে এসেছে নানা মত। ব্যান করে আসলেই ছবিটাকে প্রোমোট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাফ বক্তব্য আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকীর।
আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর প্রশ্ন, “উনি সংখ্যালঘু মানুষের কথা ভেবে ব্যান করলেন নাকি সংখ্যালঘু ভোটকে ভুল বোঝানোর জন্য ব্যান করলেন। যে জিনিসটা আমরা নিষেধ করব মানুষের মধ্যে সেটা করার প্রবণতা বেশি হয়। কেরালা স্টোরি কতজন দেখত না দেখত সেটার থেকে এখন ব্যান করে তিনি ছবিটাকে প্রোমোট করলেন বলে মনে করি। তিনি একদিকে যেমন সংখ্যালঘুদের ত্রাতা হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করলেন ঠিক একইভাবে বিজেপি যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে সেটাকে আরও ইন্ধন দিয়ে দিলেন।”
যদিও শিক্ষামন্ত্রী বাত্য বসুর দাবি, “শিল্পকর্মীদের অবশ্যই স্বাধীনতা আছে। কিন্তু, ধর্মীয় ভাবাবেগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাষ্ট্র যদি তার আওতায় এ বিষয়ে কোনও বিবেচনা করে তাকে আমাদের গণতান্ত্রিকভাবে নেওয়া উচিত।” পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সাফ বক্তব্য, “কেরলে এখনও কেরালা স্টোরি ব্যান হয়নি। কেরালা হাইকোর্ট বলেছে এই সিনেমায় কোনও ধর্মীয় কোনও সম্প্রদায়কে আঘাত করা হয়নি।”