কলকাতা: অজয়নগরে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই যুবককে। যুবকের নাম ঋত্বিক দাস (২৪) ওরফে বুবাই। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বন্ধুদের সঙ্গে জন্মদিনের পার্টি করেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পরই মনমরা হয়েছিলেন। এরই মধ্যে এই ঘটনা।
গত ২৬ নভেম্বর জন্মদিন ছিল পূর্ব যাদবপুর থানার অজয়নগরের বাসিন্দা ঋত্বিক দাসের। সেদিন এক বন্ধুর বাড়িতে পার্টি করেন তিনি। বেশ কয়েকজন বন্ধু, দুই বান্ধবীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে পরিবার সূত্রে খবর। পরিবারের অভিযোগ, ওই পার্টি থেকে ফেরার পরই ঋত্বিক মনমরা হয়ে ছিলেন। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে সেভাবে কথা বলতে চাইছিলেন না।
মা-বাবা কারণ জানতে চাইলেও মুখ খোলেননি ওই যুবক। এরই মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ঘরেই ঋত্বিকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় পরিবার। থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। তাঁর বাবার দাবি, ছেলের এই পরিণতি সাধারণ কোনও কারণে নয়। এর পিছনে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত করছে পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ।
কী কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যেহেতু ঋত্বিকের পরিবার বার বার দাবি করছে, পার্টি থেকে ফেরার পরই তাঁদের ছেলের মধ্যে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। পুলিশ জানতে চায় সেদিনের পার্টিতে ঠিক কী হয়েছিল। কারা সেখানে উপস্থিত ছিল।
ঋত্বিকের বাবার কথায়, “২৬ তারিখ আমার ছেলের জন্মদিন ছিল। পার্টিটা বন্ধুর বাড়িতে ছিল। আমার একটা মুরগির দোকান রয়েছে এখানেই। আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে গিয়েছিল। ওদের বন্ধুবান্ধবরা সব খাওয়া দাওয়া করেছে। ওর মাকে বলল, তোমরা খেয়ে নাও আমি ঠিক সময়মতো ঢুকে যাব। কিন্তু এরপর কখন যে ঘরে ঢুকেছে আমরা বুঝতেও পারিনি। তবে শুক্রবার জন্মদিন গিয়েছে। শনিবার থেকেই আমরা দেখছি ও মনমরা।”
ঋত্বিকের মায়ের কথায়, “অভিশাপ হয়ে দাঁড়াল ওই জন্মদিনের পার্টিটা। শুক্রবার জন্মদিন ছিল। শনিবার থেকে ছেলেটা থমথমে হয়ে গেল। পার্টির মধ্যে কী হয়েছে। কী এমন ঘটল যে ছেলেকে মরতে হল। ওখানেই কিছু একটা গোলমাল হয়েছে। ওই মেয়ে দু’টোও ওখানে উপস্থিত ছিল। যার বাড়িতে পার্টি হয়েছে সেই ছেলেটা বিবাহিত। ওর বউও ছিল। আরও কতজন ছিল আমি জানি না। আমরা বাবা-মা তো কোনও বকাঝকা বা কিছু করিনি। বলেছে বাইরে পার্টি করব মা টাকা দাও, দিয়ে দিয়েছি। বলেছে ঘরে শুধু পায়েস রান্না কোরো। আর কিছু কোরো না।”
ঋত্বিকের বাবার আরও অভিযোগ, ২৬ তারিখের পরই ওই পার্টিতে উপস্থিত এক যুবক তাঁর দোকানের সামনে এসে ছেলেকে বলেছিল ফোনে কী রেকর্ডিং রয়েছে। সেটাই জানার এখন, কোন রেকর্ডিংয়ের কথা ও বলল। আপাতত ময়না তদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে।
কলকাতা: অজয়নগরে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই যুবককে। যুবকের নাম ঋত্বিক দাস (২৪) ওরফে বুবাই। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বন্ধুদের সঙ্গে জন্মদিনের পার্টি করেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পরই মনমরা হয়েছিলেন। এরই মধ্যে এই ঘটনা।
গত ২৬ নভেম্বর জন্মদিন ছিল পূর্ব যাদবপুর থানার অজয়নগরের বাসিন্দা ঋত্বিক দাসের। সেদিন এক বন্ধুর বাড়িতে পার্টি করেন তিনি। বেশ কয়েকজন বন্ধু, দুই বান্ধবীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে পরিবার সূত্রে খবর। পরিবারের অভিযোগ, ওই পার্টি থেকে ফেরার পরই ঋত্বিক মনমরা হয়ে ছিলেন। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে সেভাবে কথা বলতে চাইছিলেন না।
মা-বাবা কারণ জানতে চাইলেও মুখ খোলেননি ওই যুবক। এরই মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ঘরেই ঋত্বিকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় পরিবার। থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। তাঁর বাবার দাবি, ছেলের এই পরিণতি সাধারণ কোনও কারণে নয়। এর পিছনে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত করছে পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ।
কী কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যেহেতু ঋত্বিকের পরিবার বার বার দাবি করছে, পার্টি থেকে ফেরার পরই তাঁদের ছেলের মধ্যে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। পুলিশ জানতে চায় সেদিনের পার্টিতে ঠিক কী হয়েছিল। কারা সেখানে উপস্থিত ছিল।
ঋত্বিকের বাবার কথায়, “২৬ তারিখ আমার ছেলের জন্মদিন ছিল। পার্টিটা বন্ধুর বাড়িতে ছিল। আমার একটা মুরগির দোকান রয়েছে এখানেই। আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে গিয়েছিল। ওদের বন্ধুবান্ধবরা সব খাওয়া দাওয়া করেছে। ওর মাকে বলল, তোমরা খেয়ে নাও আমি ঠিক সময়মতো ঢুকে যাব। কিন্তু এরপর কখন যে ঘরে ঢুকেছে আমরা বুঝতেও পারিনি। তবে শুক্রবার জন্মদিন গিয়েছে। শনিবার থেকেই আমরা দেখছি ও মনমরা।”
ঋত্বিকের মায়ের কথায়, “অভিশাপ হয়ে দাঁড়াল ওই জন্মদিনের পার্টিটা। শুক্রবার জন্মদিন ছিল। শনিবার থেকে ছেলেটা থমথমে হয়ে গেল। পার্টির মধ্যে কী হয়েছে। কী এমন ঘটল যে ছেলেকে মরতে হল। ওখানেই কিছু একটা গোলমাল হয়েছে। ওই মেয়ে দু’টোও ওখানে উপস্থিত ছিল। যার বাড়িতে পার্টি হয়েছে সেই ছেলেটা বিবাহিত। ওর বউও ছিল। আরও কতজন ছিল আমি জানি না। আমরা বাবা-মা তো কোনও বকাঝকা বা কিছু করিনি। বলেছে বাইরে পার্টি করব মা টাকা দাও, দিয়ে দিয়েছি। বলেছে ঘরে শুধু পায়েস রান্না কোরো। আর কিছু কোরো না।”
ঋত্বিকের বাবার আরও অভিযোগ, ২৬ তারিখের পরই ওই পার্টিতে উপস্থিত এক যুবক তাঁর দোকানের সামনে এসে ছেলেকে বলেছিল ফোনে কী রেকর্ডিং রয়েছে। সেটাই জানার এখন, কোন রেকর্ডিংয়ের কথা ও বলল। আপাতত ময়না তদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে।