কলকাতা: রাজন্যা হালদারই কি এবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের যাদবপুরের মুখ? গত বুধবারের ঘটনার পর থেকেই ঘুরপাক খাচ্ছে এই প্রশ্ন। সেই আবহে টিভি নাইন বাংলায় এক্সক্লুসিভ রাজন্যা হালদার। তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সদস্য তিনি। গত ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহিদ দিবসের মঞ্চে দেখা গিয়েছিল রাজন্যাকে। একেবারে মূল মঞ্চে তাঁর বক্তব্য বুঝিয়ে দিয়েছিল, এবার নতুন কোনও মুখ উঠে আসছে তৃণমূলের ছাত্র রাজনীতিতে। গত বুধবার ছাত্র মৃত্যুর প্রতিবাদে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলের কর্মসূচি সেখানেও মুখ্য মুখ রাজন্যাই ছিলেন। তাঁর গায়ে হাত তোলার অভিযোগ ওঠে বাম ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে। বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা সেদিন রীতিমতো আচড়ে, খিমচে জখম করেছিল বলে দাবি করলেন রাজন্যা। তাঁর দাবি, একজন মেয়ের সঙ্গে যদি এরকম করতে পারে, তাহলে সেই ছাত্রের সঙ্গে কতটা নৃশংস হতে পারে তা অনুমেয়।
কী হয়েছিল সেদিন? টিভি নাইন বাংলাকে রাজন্যা বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ করেই বাম, অতি বাম সংগঠন আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা আমার জামা টেনে হিচড়ে ছিড়ে ফেলে। আমার হাতে আচড়ে, খিমচে দেয়। একজন নারী হিসাবে আমার কাছে এটা ভীষণ লজ্জার। আমার মনে হয় যে ছাত্র ভাই আমাদের মধ্যে নেই, যার জন্য এত আন্দোলন, তার প্রতি কী অত্যাচারই না করেছে। কী অমানবিক, পাশবিকতা চালিয়েছে। আমার সন্দেহ হচ্ছে এরা আমার ভাইকে খুন করে দেয়নি তো?”
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন তুলনামূলকভাবে অনেকটাই দুর্বল। এবার সেখানে তীক্ষ্ণ নজর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের। আর শোনা যাচ্ছে সেখানে মুখ হয়ে উঠতে পারেন রাজন্যা হালদার। সূত্রের খবর, সংগঠন বিস্তারের নির্দেশ এসেছে হাই কমান্ডের কাছ থেকে। যাদবপুরের ছাত্র শাখা নতুন করে সাজাচ্ছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) রাজ্য নেতারা। এমনও শোনা যাচ্ছে, যাদবপুরে তৃণমূলের মুখ হতে পারেন রাজন্যা হালদার। শুধু তাই নয়, দলের নির্দেশ, যাদবপুরে টিএমসিপির যে কোনও প্রয়োজনে উপস্থিত থাকতে হবে বিধায়ক, মন্ত্রীদেরও।
রাজন্যার কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য র্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাস করতে হবে। সিসিটিভি বসাতে হবে এবং তার জন্য আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের যা যা নির্দেশ থাকবে, সেই নির্দেশ আমরা তৃণাঙ্কুরদার নেতৃত্বে পালন করব।”