কলকাতা: পড়াশোনা চালিয়ে যেতে প্রচুর টাকা প্রয়োজন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যথাসময়ে টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েকদিন আগেই এই দাবি সামনে আসে। অবশেষে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ৬ কোটি টাকা পেল যাদবপুর। অতিরিক্ত গ্র্যান্ট হিসেবে এই টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে এতেই সমস্যা মিটবে বলে মনে করছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্য়াপকেরা। দিন কয়েক আগেই অর্থকষ্টে বেকায়দায় পড়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। অধ্যাপকেরা জানাচ্ছেন, এখনও প্রচুর টাকা প্রয়োজন।
যদিও এই অভিযোগ বারবারই অস্বীকার করেছে যে রাজ্য যথেষ্ট টাকা দিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয়কে। রাজ্য়ের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দাবি করা হয়েছিল, প্রতিদিনের খরচ চালাতেই নাকি নাজেহাল হতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। রাজ্য সরকার প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম টাকা দিচ্ছে। তবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করেছিলেন, পর্যাপ্ত অর্থ দিচ্ছে রাজ্য সরকার। বরং কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ৩০ কোটি টাকা প্রাপ্য, সেটা দেওয়া হচ্ছে না। ব্রাত্য আরও দাবি করেছিলেন, এই ‘ইনস্টিটিউট ফর এক্সিলেন্স’ -এর জন্য টাকা চেয়ে কেন্দ্রকে বারবার চিঠি লেখা সত্ত্বেও কোনও সাড়া মেলেনি।
শুধু পড়াশোনা চালানোই নয়, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে একাধিক দেওয়াল ভেঙে গেলেও মেরামতের টাকা নেই বলেও আগেই জানিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়ের দাবি, প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ কোটি টাকা খরচ হয় বছরে। সেখানে রাজ্য সরকার এখন মেরেকেটে ২০ কোটি টাকা দিচ্ছে। ৩০ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে। এরকম চলতে থাকলে আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনন্দিন কাজ ব্যহত হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে মিলল ৬ কোটি টাকা। সেই টাকায় কতটা চালানো সম্ভব হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।