কলকাতা: সৌরভ চৌধুরীর কিছু হলে গুলি করে দেওয়া হবে, এই ভাষাতেই চিঠি এসেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। রেজিস্ট্রারের উদ্দেশে লেখা চিঠির প্রেরক খুঁজতে যখন তদন্ত শুরু হয়েছে, তারই মধ্যে নতুন জল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইস্তফা দিয়েছেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু? সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই তিনি একটি চিঠি দিয়েছেন যাদবপুরের সদ্য নিযুক্ত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। চিঠির প্রাপ্তির কথা স্বীকার করলেও পদত্যাগের বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলছেন না কেউই। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুও এড়িয়ে যাচ্ছেন চিঠির কথা। তাঁর দাবি, পুরোটাই অন্তর্বর্তী বিষয়।
TV9 বাংলার তরফে উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে চিনি বলেন, “চিঠি পেয়েছি। উনি পদে আর থাকতে পারছেন না, এ কথা জানিয়েছেন। তবে আমি এখনও সেই চিঠি গ্রহণ করিনি।” উপাচার্যের অনুমান, চিঠি আসর পর আশঙ্কায় রয়েছেন রেজিস্ট্রার। উপাচার্য আরও বলেন, “আমি বলেছি যদি আপনি আতঙ্কে থাকেন, তাহলে সেটা বলুন। আপনার যদি নিরাপত্তার প্রয়োজন হয়, তাহলে আমি সরকারের কাছে আবেদন করছি। সেটা উনি ভাবছেন।”
এদিকে, রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে কী কথা হচ্ছে, বা কী চিঠি দেওয়া হচ্ছে, সেটা মিডিয়াকে জানাতে চাইছি না। মূলত ইউজিসি যে সব প্রশ্ন করেছে, সেগুলোর উত্তর জোগাড় করতেই আমরা ব্যস্ত।” ‘আপনি কি পদ ছাড়তে চান?’ TV9 বাংলার তরফে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট জবাব দেন, ‘না একেবারেই নয়।’ অর্থাৎ উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের বক্তব্য থেকে কিছুই স্পষ্ট হয়নি। পুরোটাই রয়েছে ধোঁয়াশায়।
গত মাসে হস্টেল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। খুনের অভিযোগে প্রথমেই গ্রেফতার হন সৌরভ চৌধুরী। তাঁর নাম নিয়েই এবার এসেছে হুমকি চিঠি। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, সৌরভ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ব। সৌরভ চৌধুরীর নামে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।