কলকাতা: সালটা ছিল ২০১৪-২০১৫। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ‘হোক কলরব’ আন্দোলন সেই সময় কাঁপিয়ে দিয়েছিল গোটা কলকাতা। তবে সেই আন্দোলনের জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরাসরি হস্তক্ষেপে উপাচার্য পদ থেকে ইস্তফা দেন অভিজিৎ চক্রবর্তী। এবার প্রাক্তন সেই উপাচার্যই মুখ খুললেন যাদবপুরে পড়তে আসা পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায়। তোপ দেগে বললেন, “যাদবপুর অপরাধীদের মুক্তাঞ্চল। বহিরাগত ঠেকাতে ব্যর্থ কর্তৃপক্ষ। তাদের নজরদারি ও গাফিলতির জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে।”
প্রাক্তন উপাচার্য বলেন, “আমি উপাচার্য থাকাকালীন একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছিলাম যাতে পড়ুয়াদের সুরক্ষা বজায় থাকে। তার মধ্যে ছিল সিসিটিভি বসানো, বহিরাগত প্রবেশ বন্ধ করা, ক্যাম্পাসের মধ্যে মদ-গাঁজা সব বন্ধ করা, প্রতিটি হস্টেলে নজরদারি। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে অপদস্ত করা হয়। সেই সময় নেওয়া আমার উদ্যোগকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।” প্রাক্তন উপাচার্য আক্ষেপ করে বলেন, “সেই সময় কর্তৃপক্ষ যদি পদক্ষেপ করত, ছাত্রনেতারা এই কাজগুলো থেকে বিরত থাকতেন তাহলে এই কাণ্ড ঘটত না।”
রাজনৈতিক নেতাদের দুষে অভিজিৎবাবু বলেন, “আজকের এই ঘটনার জন্য শুধুমাত্র কর্তৃপক্ষই দায়ী নয়। সেই সময় যে সকল রাজনৈতিক নেতা এবং ছাত্রনেতারা আমার নেওয়া উদ্যোগগুলিকে বন্ধ করে দিয়েছিল তাঁরাও পরোক্ষভাবে দায়ী।” তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আমি থাকাকালীন অন্তত দুবার করে প্রতি মাসে গিয়ে হস্টেল পরিদর্শন করতাম। বহিরাগতদের অনুরোধ করে বলতাম যাতে চলে যায়। মধ্যরাতেও ঘুরতাম। যাতে অনৈতিক কাজ না হয়।”
অভিজিত চক্রবর্তীর সাফ কথা, “স্টুডেন্ট পপুলারিটিকে বেস করে একটা বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। সেক্ষেত্রে ইউজিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইডলাইন মানতে হবে যাতে কোনও অনৈতিক কাজ বরদাস্ত করা না হয়।”