কলকাতা : হাইকোর্টে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, হাওড়া পুরসভার বিলে সই করে দিয়েছেন রাজ্যপাল। কিন্তু রাজ্যপালের বক্তব্য ঘিরে বাড়ল ধোঁয়াশা। বিকেলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে জানান, রাজ্যপাল তাঁকে বলেছেন, ওই বিলে তিনি সই করেননি। শুধু তাই নয়, রাজ্যপালের টুইটেও লেখা হয়েছে, হাওড়া কর্পোরেশন অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২১ এখনও রাজ্যপালের বিবেচনাধীন।
বিধানসভা সূত্রে খবর, এখনও কোনও বিলে সই করার খবর তাদের কাছে নেই। বিল সই হলে বিধানসভায় আসে। কিন্তু এখনও সেই সই করা বিল বিধানসভায় আসেনি।
রাজ্যপাল টুইটে দাবি করেছেন হাওড়া পুরসভা সংক্রান্ত বিল এখনও তাঁর বিবেচনাধীন। তাঁর সঙ্গে দেখা করার পর একই কথা বলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি জানান, কোনও বিলে সই করেননি রাজ্যপাল।
Governor indicated that the bill regarding Howrah Municipality @MamataOfficial was still under his consideration. pic.twitter.com/WEIWNFJon3
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 24, 2021
শুক্রবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টে জানান, হাওড়া ও বালি পুরসভার বিলে সই করেছেন রাজ্যপাল। তাই সেখানে ভোট হতে আর কোনও সমস্যা নেই। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। হাইকোর্টে নির্দেশেও তার উল্লেখ রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ইস্যুতে ধোঁয়াশা বাড়ছে।
হাওড়ার ভোট নিয়ে একটা প্রশ্ন ছিল প্রথম থেকে। কারণ, এতদিন হাওড়া পুরসভার অধীনেই ছিল বালি পুরসভা। বালি পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ড নিয়ে হাওড়ার মোট ওয়ার্ড ছিল ৬৬টি। গত ১২ নভেম্বর বালিকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো সদ্য অনুষ্ঠিত বিধানসভা অধিবেশনে বিল আনা হয়। ‘মাইক্রো লেভেলে নাগরিক পরিষেবা’ পৌঁছে দিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়। কিন্তু বিল পাশ করানো হলেও রাজ্যপালের সই ছাড়া তা আইন হচ্ছেল না।
এদিকে সংশোধনী বিল পাশ হলে তার পরে আইন করে বালি পুরসভা আলাদা হবে। বালিকে ধরে হাওড়ায় মোট ৬৬টি ওয়ার্ড। বালি আলাদা হলে সেখান থেকে ১৬টি ওয়ার্ড বাদ যাবে। বাকি ৫০টি ওয়ার্ড নিয়ে হাওড়া পুরসভা হবে। কিন্তু যখন ভোটের কথা বলা হয়েছিল তখন হাওড়া ৬৬টি ওয়ার্ডের কথা বলা ছিল। এ নিয়েও একটা জটিলতা রয়েছে।
এই সই নিয়ে বৃহস্পতিবারই বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “রাজ্যপাল কেন করছেন না, সেটা ওনাকে জিজ্ঞাসা করুন। এটাতে কী অসুবিধা হচ্ছে, বুঝতে পারছি না। যা যা তথ্য, কাগজ চেয়েছিলেন, সব দিয়েছি। রাজ্যপাল বলছেন অনেক কাগজ জমা পড়েনি। এটা মিথ্যে।”
আরও পড়ুন : Partha Chatterjee on Mukul Roy: মুকুল ‘ভারসাম্যহীন’, বিস্ফোরক পার্থ, জল্পনা বাড়ল পিএসি নিয়ে