AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেক এনকাউন্টারের কোনও চিহ্ন নেই, প্রকাশ্যে এল ভুল্লারের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

প্রথম ময়নাতদন্তেই ভুল্লারের হাতে মিলেছিল গান পাউডারের চিহ্ন। গুলি চালানোর প্রমাণ পেয়েছিল পুলিশ

ফেক এনকাউন্টারের কোনও চিহ্ন নেই, প্রকাশ্যে এল ভুল্লারের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট
ফাইল ছবি
| Updated on: Jun 23, 2021 | 1:00 PM
Share

পাঞ্জাব: মৃতদেহ রেখে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল নিউটাউন এনকাউন্টারে মৃত গ্যাংস্টার জয়পাল সিং ভুল্লারের। আজ, বুধবার সেই রিপোর্ট এসেছে পুলিশের হাতে। আর তাতে কোনও ফেক এনকাউন্টারের প্রমাণ মেলেনি। পঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর, ভুল্লারের শরীরে পুলিশের আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই।

ছেলে জয়পালকে পুলিশ গুলি করে মেরেছে বলে পাঞ্জাবের আদালতে পুনরায় ময়নাতদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁর বাবা। কলকাতায় এনকাউন্টারে মৃত জয়পালের মৃতদেহের শেষকৃত্য করা হয়নি। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে তার ফের ময়নাতদন্তও হয়। কিন্তু তাতে ফেক এনকাউন্টারের যুক্তি খারিজ হয়ে গেল।

আগেই ভুল্লারের দেহের ময়না তদন্ত হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে, ভুল্লার ও যশপ্রীতের শরীরে গুলির চিহ্ন আছে। এ ছাড়া দুষ্কৃতীদের হাতে গান পাউডারের নমুনা থেকে তাদের গুলি চালানোর প্রমাণও স্পষ্ট। কিন্তু ভুল্লারের পরিবারের দাবি, ছেলের দেহে অত্যাচারের ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। হাতও ভাঙা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন জয়পালের বাবা। ভুল্লারের পাঁজরের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই গ্যাংস্টারের পরিবারের দাবি, এনকাউন্টারের ঘটনাও সাজানো হয়েছিল।

আরও পড়ুন: মাল্য, মোদী, চোকসির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ৯,০০০ কোটি টাকা ফেরাল ইডি

গত ৯ জুন দুপুরে নিউ টাউনের সাপুরজি আবাসনে বেঙ্গল এসটিএফের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় পঞ্জাবের দুই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ গ্যাংস্টার জয়পাল সিং ভুল্লার ও যশপ্রীত সিংয়ের। পঞ্জাব পুলিশের কাছ থেকে তথ্য পেয়েই সেদিন তল্লাশি অভিযানে যায় বেঙ্গল পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ। টাস্ক ফোর্সের জওয়ানদের এগোতে দেখেই আবাসনের ঘরের ভিতর থেকে গুলি চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। তা সত্ত্বেও এগিয়ে যায় পুলিশ। আর তখনই দুষ্কৃতীদের গুলিতে আহত হন এসটিএফের ওসি (এক্সপ্লোসিভ) কার্তিক ঘোষ। পুলিশ চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলায় পালানোর পথ পায়নি দুষ্কৃতীরা। মরিয়া হয়ে গুলি চালাতে থাকে তারা। পুলিশ বুঝে যায়, শুধু সাধারণ বন্দুক নয়, আরও অনেক অস্ত্র আছে তাদের কাছে। তখনই পুলিশ পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে। আর তাতেই মৃত্যু হয় দুই গ্যাংস্টারের।