
কলকাতা: এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিজিও কমপ্লেক্সে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার পিসি মায়া সাহা। বৃহস্পতিবার তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেই নির্দেশ মেনেই মায়া হাজির হন ইডি দফতরে। বেলা এগারোটায় হাজিরা দেন তিনি। বস্তুত, গত ২৫ অগস্ট জীবনকৃষ্ণের বাড়ির পাশাপাশি মায়ার বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা।
মায়া সাহা সাঁইথিয়ায় ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ওই দিন তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে বেশ কিছু তথ্য ও পেনড্রাইভ বাজেয়াপ্ত করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। প্রায় চার ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয়েছিল সেদিন। এরপর আজ ইডি দফতরে হাজিরা দিতে আসেন মায়া। আজ সিজিও-তে ঢোকার আগে মায়া বলেন, “দুর্নীতির টাকা আমার অ্যাকাউন্টে নাই…আমি যুক্ত নই..যুক্ত নই। আজ বাড়ির জায়গা-জমি নিয়ে এসেছি। এই বাড়ি আমার ও আমার স্বামীর নামে আছে।”
উল্লেখ্য, গত সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আর গোয়েন্দাদের আসতে দেখেই নিজের ফোন পুকুরের দিকে ছুঁড়ে ফেলে দেন তিনি। তবে এবার আর ফোন জলে পড়েনি। ২০২৩ সালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিধায়কের কান্দির বাড়িতে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। টানা চলেছিল চিরুনি-তল্লাশি। আর সেই তল্লাশির ফাঁকে নাটকীয় মোড় টেনে এনেছিলেন বড়ঞার বিধায়ক। ছাদে উঠে নিজের সর্বক্ষণের ব্যবহারের দু’টি মোবাইল ফোন তিনি ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন ওই পুকুরেই। এরপর দু’দিন ধরে পাম্প চালিয়ে, কাদা-জল ঘেঁটে দু’টি মোবাইল উদ্ধার করে সিবিআই। অবশ্য, সুপ্রিম নির্দেশে জামিন পাওয়ার পর জীবনকৃষ্ণ সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেছিলেন তিনি এমন কোনও কাজ করেননি। এরপর সোমবার ফের জীবনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দারা। যদিও, এবারও তাঁর দাবি, তিনি কিছুই করেননি।